পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
ফের পাঁচিল তোলার কাজ বন্ধ করে দিল বোলপুরের সাধারণ মানুষ। দিন কয়েক আগে এখানে পাঁচিল সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেদিনও বোলপুর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুকান্ত হাজরা কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করে আসেন। তখনকার মত কাজ বন্ধ করে দিলেও শনিবার সকাল থেকে ফের কাজ শুরু করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দমকল বিভাগের সামনে।
শনিবার সকালে পাঁচিল সংস্কারের কাজ দেখে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সেখানে পৌঁছায় বোলপুর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুকান্ত হাজরা সহ বোলপুরের কয়েকশো মানুষ। এরপরেই সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পরে। সুকান্ত হাজরা জানায়, যে ৫ ইঞ্চি উচ্চতা নির্মাণের কাজ বিশ্বভারতী শুরু করেছিল সেই পাঁচিলের জায়গাটি রাজ্য পূর্ত দফতরের।
পাঁচিলের গা ঘেষে বেশ কিছু দোকান ছিলো। পাঁচিলের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য তাদের কে উঠে যেতে হয়। গত ডিসেম্বর মাসে বোলপুর পুরসভার পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষকে, চিঠিতে বিশ্বভারতীকে বলা হয়, পুরসভা নিয়ম অনুযায়ী চার ফুট জায়গা ছেড়ে কেন পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে না? পাঁচিলের কাজ শুরু হয়েছে দেখেই গত ৪ ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে বিশ্বভারতীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীতে জল প্রতিবন্ধক ব্যবস্থা গড়তে উদ্যোগ সেচ দফতরের
তবে এখনো কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বিশ্বভারতীর তরফে। পাশাপাশি পাঁচিলের পাশে পূর্ত দফতরের যে জায়গায় সমস্ত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন, তাদের প্রচন্ড অসুবিধা হচ্ছে ব্যবসা করতে। বোলপুর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুকান্ত হাজরা জানান নির্দিষ্ট এই অংশের পাঁচিল বির্তক সমাধান না হলে বোলপুর পুরসভার তরফে পাঁচিল ভাঙার নির্দেশিকা জারি করা হবে।
বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জানিয়েছেন,বির্তক ও সমস্যা তৈরি করা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অভ্যেসে পরিণত হয়ে গেছে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশ্রমকে কলুষিত করে শেষ করে দিচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584