মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সরে যাওয়ার পর সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও আবারও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ফলে বাড়ছে সংক্রামিতের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে করোনার টিকাকরণের উপর জোর দিচ্ছে সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে ১০০ কোটি মানুুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। তা স্বত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেড়েছে সংক্রমণ। যার কারণে দিল্লির এইমস প্রধান ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানান, পরিস্থিতি অনুযায়ী দুটি ডোজ নেওয়ার পর বুস্টার ডোজ নেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে।
এইমস প্রধান আরও জানান, করোনার দুটি ডোজ নেওয়ার পরে কতজন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ও মৃত্যুর হার কতটা বাড়ছে, সেই পরিসংখ্যানের উপরই করোনার বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করছে। বিশ্বের কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই বুস্টার ডোজ চালু করে দিয়েছে।
এইমস প্রধান গুলেরিয়া জানান, আমাদের দেশে কবে থেকে বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। করোনার দ্বিতীয় ডোজের এক বছর পর এনিয়ে ভাবনাচিন্তা করা যেতে পারে। তবে তার জন্য দ্বিতীয় ডোজের পর করোনা সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর হার নিয়ে আরও পরিসংখ্যানের প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়
ব্রিটেনে আবারও বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। তবে আক্রান্ত হয়ে হাসাপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর হার সেদেশে বাড়েনি। গত ডিসেম্বরে ব্রিটেনে টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। তারপর এখন সেখানে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার খবর আসছে। আমাদের দেশেও যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তবে বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হবে। এদিন গুলেরিয়া শিশুদের টিকাকরণ নিয়েও মুখ খোলেন। তাঁর কথায়, গোটা বিশ্বে শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। শীঘ্রই বাজারে শিশুদের জন্য টিকা আসবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584