শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
ফি বছর বর্ষা শুরু হয়ে গেলে ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করে। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছুই হয়নি।বসতি এলাকা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে গঙ্গার মাঝে গজিয়ে উঠেছিল বিশাল একটি চরা।
এখানেই গড়ে উঠেছে আড়াই কিলোমিটার জুড়ে একটা আস্ত গ্রাম। গ্রামের নাম দুর্গাপুর। লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক।কিন্তু প্রতিবছর গঙ্গার ভাঙলেই তলিয়ে যায় একের পর এক বসতভিটে চাষযোগ্য জমির রাস্তাঘাট।
একসময় এলাকায় ছিল বিশাল ইঁটভাটা সেটিও গঙ্গায় বিলীন হয়ে গিয়েছে।ওই ইঁটভাটা এলাকার বহু মানুষ কাজ করে সংসার চালাতেন তার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এখন।এছাড়াও উত্তর ছড়াটিতে রমরমিয়ে চলত টালিখোলা তাও আজ গঙ্গাগর্ভে বিলীন।এক সপ্তাহ ধরে উত্তর সরাটির গঙ্গার ধারে শেষসীমানা ছিল হাবিব মণ্ডলের বাড়ি সেটিও কয়েকদিনের মধ্যে গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে যে হাবিবের বাড়ির কোন চিহ্ন দেখা যায়নি।
গঙ্গার পাশে থাকা একের পর এক বহু জমি বাড়ি দিনের পর দিন গর্ভেবিলীন হয়ে যাচ্ছে।এলাকার বাসিন্দাদের দাবি,সেচ দফতর একটু নজর দিক।সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ যে সরকার যদি ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিত তাহলে আজ এই দশা তাদের হতো না।
আরো পড়ুনঃ খানাকুলে ভূমিকম্পে ধ্বসে গেলো তিনটি বাসগৃহ
তাই ভাঙ্গনের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।আজ অনেকেই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কখন যে তাদের বাড়িও গঙ্গাগর্ভে চলে যায়।
যদিও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে যে ভাঙন রোধে তারা রাজ্য এবং এগুলোর সেচ দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584