অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতেও নিয়মভেঙ্গে বিপরীত লেনে চলছে গাড়ী

0
65

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

উল্টো লেনে ঢুকে পড়ছে গাড়ি। তার জেরে থমকে যাচ্ছে জাতীয় সড়কের স্বাভাবিক গতি। ঘটছে দুর্ঘটনা। গলসির পারাজ, পুরষা বা বুদবুদের সাধুনগর-২ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দৃশ্য দেখা  যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, লেন ভাঙা বেশ কিছু চালকদের কাছে অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় সড়ক পরিবহণ সূত্রে জানা যায়, আইনে রয়েছে, কোনও অবস্থাতেই লেন ভাঙা যাবে না৷ জাতীয় সড়কে লেন পরিবর্তন করতে হলে ডিভাইডার পেরিয়ে নির্দিষ্ট স্থান দিয়েই গাড়ি ঘোরাতে হবে৷ কিন্তু অনেকেই তা মানেন না। জনবহুল এলাকায় গাড়ির গতিবেগ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের। অভিযোগ, জাতীয় সড়কে গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেঁধে দিলেও এর অনেক বেশি গতিতে যাতায়াত করে গাড়িগুলি৷ এ ছাড়া জনবহুল কিছু জায়গায় গাড়ির গতিবেগ আরও কম থাকার কথা। জাতীয় সড়কের এক কর্তা বলেন, গাড়ির গতিবেগের বিষয়টি চালকদের নজরে আনতে রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছে সাইনবোর্ড কিন্তু অনেক গাড়িচালক কোনও নিয়মই মানেন না বলে অভিযোগ৷ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার গ্রামীণ এলাকার যেসব জায়গাকে ‘অতি দুর্ঘটনা প্রবণ’ বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে গলসির পারাজ মোড়, গলসি মোড় ও গলিগ্রাম মোড়কে ‘ক্যাটাগরি এ ব্ল্যাক স্পট’ ঘোষণা করা হয়েছিল। পারাজ মোড়ের বাসিন্দা মোতিয়ুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা অথচ চালকের সতর্ক থাকার বদলে উল্টো লেনে তীব্র বেগে গাড়ি ছুটিয়ে যাচ্ছে।

ওয়ান ওয়ে রাস্তায় নিয়মকে তোয়াক্কা না করে চলছে গাড়ি।নিজস্ব চিত্র

বুদবুদের সাধুডাঙার কাছে দুর্গাপুর থেকে বুদবুদ ঢোকার রাস্তায় এবং বর্ধমান যেতে ভিড়সিন গ্রামের কাছে ডিভাইডারে সিভিক ভলিন্টিয়ার্স মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে ফলে দুর্ঘটনা কমছে। তবে শুধু দূরপাল্লা গাড়ির চালকরাই নন স্থানীয় বাসিন্দারা মোটরবাইক বা সাইকেল নিয়ে ‘সহজে’ রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে কিংবা উল্টোমুখী রাস্তায় যেতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। দু’টি আন্ডারকাটের দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার থাকায় এই ভাবে পারাপার। পুলিশ সূত্রে জানা যায় লেন ভাঙা গাড়ি ধরলে জরিমানা থেকে শুরু করে গাড়ির নথি সব মূল্যায়ন বা চেক করা হয়। শাস্তিও দেওয়া হয়। রাস্তায় নিয়মিত টহল দেয় পাইলট কার। মোতিয়ুরবাবু বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে মানুষের মধ্যে সচেতনতা জরুরী না হলে লেন ভেঙে গাড়ি চালানো বন্ধ করা অসম্ভব। অধিকাংশ চালক নিয়ম মেনেই চলেন বাকিরা নিয়মটুকু মেনে চললে সমস্যার সহজ সমাধান হবে।বাঁচবে জীবন ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here