সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
প্রবল বর্ষণ। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ভাঙা বাঁধে বসে আছে বকখালির হাতিকর্নার, দাসকর্নার, লক্ষ্মীপুর ও অম্রাবতি। বাঁধ হলেও কাজে সন্তুষ্ট নন অনেকেই।
আইলার পর আজও বাঁধ পায়নি হাতি কর্নার, দাসকর্নার এলাকাবাসী। ফলে প্রতি বছর কোটালের জলের সঙ্গে বড় কোনও ঝড়ের সম্মুখে পরেন শতাধিক পরিবার।
প্রশাসনিক মতে আইলার থেকেও সাংঘাতিক ঝড় হবে বুলবুল। যার জেরে বকখালি থেকে লোক সরাচ্ছেন প্রশাসন। বকখালির পাঁচটি হোটেল, লক্ষ্মীপুর অবৈতনিক, দুটি ফ্ল্যাট সেন্টার, দেবনিবাস ও বিজয়বাটি থেকে প্রায় পাঁচশত বেশি পরিবারকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
সকালে বকখালির সমুদ্র সৈকতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে উপকূল রক্ষ্মী বাহিনীর দেখা পাওয়া না গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেখা মিলেছে সমুদ্র সৈকতে। প্রত্যেকটি মূহুর্তে তদারকি করছে জেলা প্রশাসন। জেলা ডিএম, কাকদ্বীপ এসডিপিও, উপকূল রক্ষী বাহিনী সমুদ্র সৈকতে টহল দিচ্ছে।
অন্যদিকে কাকদ্বীপের লট নং ৮ ঘাটে সেচ্ছাসেবী সংগঠনে রাখা হয়েছে মানুষদের। কিছু মানুষকে কচুবেড়িয়া, সাগরদ্বীপ, মনসা বাজারে রাখা হয়েছে। রয়েছে খাবার দাবারের ব্যবস্থা।
প্রাথমিক চিকিৎসারও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সাগরে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে ভেসেল ও লঞ্চ পরিষেবা। এছাড়া সুন্দরবন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি চলাচল।
পর্যটকেরা সমুদ্র সৈকতে না নামতে পারায় বিষাদ জেগেছে তাদের মধ্যে। সব মিলিয়ে বুলবুল প্রকট সমস্যায় ফেলেছে। সঙ্গে সমুদ্রে জাহাজ রাখা হয়েছে কোষ্টগার্ডের তরফে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584