সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি খুনি বা খুনের সাথে যুক্ত অভিযুক্তদের। উল্লেখ্য, বর্ধমান শহর লাগোয়া ২নং জাতীয় সড়কের ধার থেকে হাওড়ার লিলুয়ার গাড়ি চালক তথা গাড়ি মালিক কুন্দন মহারাজের মৃতদেহ উদ্ধার হয় এবং তাঁর ইনোভা গাড়িটি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরে গলসী থানার নলা এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
বর্ধমান থানার পুলিশ খুনের ঘটনার কিনারা করতে রবিবার হাওড়ায় গিয়েছিল। যে হোটেলের সামনে থেকে ৪ যুবক কুন্দনের গাড়ি ভাড়া নেয় সেখানকার সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান বর্ধমানের জাতীয় সড়কে সতীমা কোল্ড স্টোরেজের কাছে গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে গাড়ির মধ্যেই এলোপাথাড়ি কোপানো হয় কুন্দনকে। মৃত কুন্দনকে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। এরপর গলসীর নলার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি বাঁদিকে পরপর ধাক্কা মারায় সামনের বাঁ দিকের চাকা ফেটে যায়। পুরো বিষয়টি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে চাই চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। তবে লিলুয়ার অশোকা হোটেল থেকে রওনা হওয়ার আগেই যাত্রীদের মধ্যে দুজনের ছবি এবং তাদের ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্রের ছবি তুলে রেখেছিলেন কুন্দন। যা তদন্তে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। খুনিদের শনাক্ত করতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ দেওয়া পর্যন্ত পুলিশের অপেক্ষা করা উচিত ছিল বলে মত অনেকেরই ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584