মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতির পদ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে দিতেই দিনহাটায় বাজি ফাটিয়ে কার্যত উৎসবে মেতে উঠল একদল যুবক।গতকাল রাতে দিনহাটা চৌপথী এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের উৎসবে মেতে ওঠার ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।প্রকাশ্যে তাদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া না গেলেও প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে রবি বিরোধী গোষ্ঠীর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই এভাবে উৎসবে মেতে উঠেছিল।
গতকালই দলের কোচবিহার জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। তাঁর জায়াগায় দায়িত্ব পান বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ, কার্যকারী সভাপ্তি করা হয় প্রাক্তন সাংসদ পার্থ প্রতিম রায়। আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই রদবদলের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রবি বিরোধী তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা রবি বাবুকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষ করতে শুরু করেন। রাতে দিনহাটায় রাস্তায় নেমে উৎসবে মাততে দেখা যায় একদল যুবককে।
আরও পড়ুনঃ জয়ের উল্লাসে বিজেপির মিষ্টি লাড্ডু বিতরণ
এদিন ওই বাজি ফাটানোর বিষয় জানতে চাইলে তাদের মধ্যে অর্জুন চক্রবর্তী নামে এক উল্লাসিত ব্যক্তি বলেন,”দীর্ঘদিন ধরে আমি তৃণমূল করে আসছি। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তিনি দলটাকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে এতদিন চালাতেন। দলকে ব্যবহার করে তিনি অনেক অনৈতিক কাজকর্ম করেছেন। তাঁর অপসারণে হওয়ায় আমরা খুবই খুশি।”
এদিন এবিষয় দিনহাটা ১ নং ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেন বলেন,“দিনহাটার আপামোর জনসাধারন জানে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা প্রত্যেকে বিজেপির হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভোট প্রচার করেছে, আবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অপসারনের পর দিনহাটা চৌপথী বাজি ফাটাচ্ছে।এর থেকে প্রমাণিত হয় যে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে।”
এবার লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কাছে ৫৪ হাজারের বেশী ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পরেশ অধিকারী।ওই হারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকেই দায়ী করতে শুরু করে দলে তাঁর বিরোধী শিবির।
পরাজয়ের পর প্রথম দিকে বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ বনমন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেওয়া, মিহির গোস্বামীকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর রবি বিরোধী শিবিরে আরও তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রবিবাবুকেও সরানোর দাবি তুলতে শুরু করে একটি মহল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলে তৃণমূলে রবি বিরোধী গোষ্ঠী কার্যত উচ্ছাসে ফেটে পরে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584