নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
প্রকাশ্য জনসভায় পুলিশকে মারধোরের হুমকি এ রাজ্যে নতুন নয়। এবারও তার পুনরাবৃত্তি শোনা গেল শাসক দলেরই এক বিধায়কের গলায়। প্রকাশ্য জনসভায় চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান রামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি পিন্টু বর্মনের উদ্দেশ্যে বললেন, ওসি না শোধরালে নাকি তাঁকে এরপর নাকি ফাঁড়িতে বেঁধে তালাবন্ধ করে রাখা হবে!
আরও পড়ুনঃ ২০১৯-২২, আন্দোলনে নবম- দ্বাদশ মেধাতালিকায় নাম থাকা শিক্ষক পদপ্রার্থীরা অধরা সমাধান
হামিদুলের অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করেছেন ওসি। আর এর জেরেই আরো একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বুধবার ভদ্রকালী বাজারে একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে হামিদুল বলেন, , ‘‘পিন্টু বর্মণ যদি এই ধরনের কার্যকলাপ না বন্ধ করে, নিজেকে না শোধরায়, তা হলে আমরা ওকে রামগঞ্জ ফাঁড়িতে বেঁধে রাখব। তালা বন্ধ করে রাখব।“ উল্লেখ্য, বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই উল্লাসে ফেটে পড়েন সমর্থকেরা। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এখন পুলিশের সামনেই কত কিছু ঘটছে। কিন্তু পুলিশ কিছুই করছে না। তিনি এও বলেন যে তাঁরা এসপি, আইসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং পিন্টু বর্মণ-কে নিজেরাই শায়েস্তা করবেন।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী এবং তিনিই পুলিশ মন্ত্রী। তাঁর দলের নেতারাই জন সমক্ষে পুলিশকে একাধিকবার মারধোরের হুমকি দিচ্ছেন, এর পরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকদের কি ধারণা হবে? আর তাঁরা ভরসাই বা রাখবেন কার ওপরে? তৃণমূল নেতাদের ওপর নাকি আইন রক্ষক অর্থাৎ পুলিশের ওপর? তৃণমূল নেতৃত্ব কি তাঁদের দলীয় নেতাদের এই ধরণের বক্তব্য সমর্থন করেন?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584