নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে আজ আবার শান্তিকুঞ্জের সামনে দেখা গেল সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তাঁর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী, সেই মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতেই বারবার কাঁথিতে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বাড়ির সামনে পুলিশ ব্যারাকেই থাকতেন তাঁর দেহরক্ষী শুভব্রত। এদিনও তদন্তকারী আধিকারিকরা সেখানে যান ও গোটা এলাকার ভিডিয়োগ্রাফিও করেন।
এদিন সকালে পুলিশ ব্যারাকে গিয়ে চারপাশ খতিয়ে দেখে সিআইডির চারজনের প্রতিনিধি দল। ঘটনার পুনর্নির্মান করার চেষ্টা করেন তাঁরা। শুধু পুলিশ ব্যারাকই নয়, গোটা এলাকার ছবিও এদিন তুলে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তের সময় আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রস্তুত থাকতে হবে উপনির্বাচনের জন্য, ৬ জেলায় চিঠি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তমলুকের মানিকতলা জেলা পুলিশ লাইনে থাকা মোট ১১ জন শুভব্রতের তৎকালীন সহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি দলের প্রতিনিধিরা। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এছাড়া বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনেও আগের দিন গিয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ পিকের সাথে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শরদ পাওয়ার! রাজধানীতে প্রশ্নের ঝড়
শুভব্রতর রহস্যজনক মৃত্যুর আড়াই বছর পরে স্বামীর মৃত্যু রহস্যের সুবিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা। অভিযোগ পত্রে তিনি লিখেছেন, ২০১৮ সালে স্কুলে কর্মরত থাকার সময় তাঁর স্বামীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান তিনি। তাঁকে প্রথমে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শুভব্রতর। সুপর্ণা প্রশ্ন তুলেছেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই কি অ্যাম্বুলেন্স দেরিতে আসে সেদিন?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584