মৃন্ময় পান,বাঁকুড়াঃ
এক সময়ের অতি জনপ্রিয় সার্কাস’কেই থিম হিসেবে তুলে ধরলো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। বেশ কয়েক বছর আগে সার্কাসে বাঘ,সিংহের খেলা নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।তারপর থেকেই সার্কাস যেন তার ঐতিহ্য হারিয়েছে।এখন আর সেভাবে শহরে সার্কাসের তাবু পড়ে না।শীতের রোদ গায়ে মেখে সার্কাস দেখতে যাওয়ার দিন শেষ।বর্তমান প্রজন্মের কাছে সার্কাস মানেই যেন রুপকথার গল্প।সেকারণেই বর্তমান প্রজন্মের সার্কাস সম্পর্কে ধারণা দিতে এই ধরণের অভিনব মণ্ডপ ভাবনা বলে জানালেন পুজো উদ্যোক্তারা।
এবারের এই পুজো মণ্ডপ সার্কাসের তাঁবুর আদলে যেমন তৈরী করা হয়েছে তেমনি বিভিন্ন ধরণের ছবির মাধ্যমে সার্কাসের সেই বিশেষ মুহূর্তগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে।প্রায় তিন মাসের চেষ্টায় স্থানীয় হাইস্কুল মাঠে একটু একটু করে এই অভিনব মণ্ডপ সজ্জার কাজ করেছেন কাঁথি থেকে আসা এক দল পেশাদার মণ্ডপ শিল্পী। একই সঙ্গে প্রতিমাতেও আছে বৈচিত্রের ছোঁয়া। এখানে রাজস্থানী ঘরানার সাবেকি আনার প্রতিমা দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা।
উৎসব কমিটির সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ বলেন, “হারিয়ে যাওয়া সার্কাস শিল্পকে আমরা থিমের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আমাদের ছোটো বেলায় শহরে সার্কাসের তাবু পড়তে দেখেছি।কিন্তু এখন বর্তমান প্রজন্ম সার্কাস দেখার সুযোগ পায়নি।তাই আমরা পুজোর ২৭তম বর্ষে শিশুদের কথা ভেবেই সার্কাস শিল্পকেই থিম করার কথা ভেবেছিলাম।”
সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষের কথার রেশ টেনে অন্যতম সদস্য সুদীপ সেন বলেন,” আমাদের প্রথম ও প্রধান প্রচেষ্টা ছিল শিশু মনকে আনন্দ দেওয়া। আমরা সেই চেষ্টাই করেছি। ”
সব মিলিয়ে অভিনব থিম ভাবনা উপস্থাপিত করে শহরের সিংহভাগ দর্শককে তাদের মণ্ডপেই হাজির করাতে পারবেন। আশাবাদী বিষ্ণুপুর তিন নম্বর ওয়ার্ড সার্বজনীন পুজো কমিটি।
আরও পড়ুনঃ অকাল বোধনে মা দূর্গার সাথে পূজিত হন রাম লক্ষণ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584