মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
নিজের গাড়িতে করে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হলেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার্স সহ দুজন। শনিবার রাতে তাদেরকে দিনহাটার বুড়িরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি নাইনএমএম পিস্তল ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ধৃত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার্স নাম ভাস্কর বর্মণ। তার সাথে গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম মৃণাল বর্মন। তাদের বাড়ি দিনহাটার সাহেবগঞ্জ থানার বুড়িরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পিস্তল- গুলি সহ সিভিক ভলেন্টিয়ার্স গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার ধৃত দুজনকে দিনহাটা আদালতে তোলা হলে তাদের ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মামলার সরকারি কৌঁসুল নিহার রঞ্জন গুপ্তা বলেন, “একটি চার চাকার গাড়িতে করে প্রান্তিক বাজার হয়ে একটি গ্রামের রাস্তায় বুড়িরহাট যাওয়ার পথে তাদের আটক করে পুলিশ। তল্লাশি চালানোর পর তাদের কাছ থেকে পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে “। ওই দুই যুবককে অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিন আদালত থেকে পুলিশি হেফাজতে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার্স ভাস্কর বর্মন বলেন, “ আমি নিজের গাড়িতে করে কয়েক জন প্যাসেঞ্জারকে নিয়ে বুড়ির হাট যাচ্ছিলাম। এরমধ্যে কয়েকজন রাস্তায় নেমে যায়। পরে রাস্তায় পুলিশ গাড়ি আটকে তল্লাশি চালালে গাড়ি থেকে পিস্তল এবং কয়েক রাউন্ড গুলি পায়। কে বা কারা ওই সব রেখে গেছে তা আমার জানা নেই।”
দিনহাটার এসডিপিও উমেশ জি খান্ডোয়াল বলেন, “সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ ২ যুবক নাইন এমএম পিস্তল ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি নিয়ে প্রান্তিক বাজার হয়ে বুড়িরহাটের দিকে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই রাস্তায় বটতলা এলাকায় তাদের গাড়ি আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। অস্ত্র মেলার পরেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
দিনহাটায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই তৃনমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী মাদার ও যুব’র মধ্যে লড়াই চলছে। একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বহু মানুষ বোমা গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন। বিদায়ী বোর্ডের একজন পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। বোর্ড গঠনের সময় ফের সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখে পুলিশ ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলবে। তা নিয়ে গণ্ডগোল লাগার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন। আর সেই কারনেই পুলিশ সক্রিয় হয়ে বোমা বন্দুক উদ্ধারে নেমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু অস্ত্র কারবারিদের ধরতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার্সকে গ্রেপ্তার হবে, এটা দিনহাটার অনেক পুলিশ আধিকারিক ভেবে উঠতে পারেন নি।
আরও পড়ুনঃ সুবর্ণ জয়ন্তীবর্ষ দুর্গোৎসব, কমিটির আয়োজনে দাতব্য চিকিৎসা কর্মসূচি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584