তেলেগুতে বৈবাহিক মামলার মীমাংসা করলেন প্রধান বিচারপতি, বেনজির ঘটনা সুপ্রীম কোর্টে

0
55

নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ

প্রথা ভেঙে তেলেগু ভাষায় শুনানির মাধ্যমে বৈবাহিক মামলার মধ্যস্থতা করলেন প্রধান বিচারপতি এনভি রমান্না। সুপ্রীম কোর্টের কার্যকরী ভাষা ইংরাজি। কিন্তু বুধবার বিকেলে দেশের শীর্ষ আদালতে দেখা গেল একটু অন্যরকম দৃশ্য। একটি বৈবাহিক মামলার শুনানি চলছিল আদালতে, কিন্তু জানা যায় অভিযোগকারিণী ইংরাজি ভাষা বুঝতে পারেন না। তা জেনে তেলেগু ভাষাতেই কথা বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

N V Ramana
বিচারপতি এনভি রমান্না। সৌজন্যেঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

২০০১ সাল থেকে পরস্পরের থেকে আলাদা থাকেন অন্ধ্র প্রদেশের এক দম্পতি। বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকতে শুরু করার একমাস পরে স্বামীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮(এ) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ২০০২ সালে, গুন্তুর ট্রায়াল কোর্ট ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং এক বছরের কারাদণ্ড দেয়। উচ্চ আদালত তাঁর জেল স্থগিত করে। ইতিমধ্যে তাঁর স্ত্রী খোরপোষ দাবি করে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন এবং ২০০৩ সাল থেকে তা নিতেও শুরু করেন তিনি।

অভিযুক্ত ব্যক্তি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের রাজস্ব বিভাগে কাজ করতেন মহিলার স্বামী এবং অভিযোগকারিণীর নিজস্ব কোন উপার্জন নেই। ২০১০ সালে, উচ্চ আদালত ওই ব্যক্তির শাস্তি কমিয়ে দেয়। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে স্বামীর জেলের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলা। তাঁর অভিযোগ ছিল যে স্বামীর তেমন কোন শাস্তি হয়নি এবং চাকরি থেকেও বরখাস্ত হননি তিনি।

আরও পড়ুনঃ বিরোধী জোটের মুখ তাহলে কে! ‘ক্যাডার হয়ে থাকতে চাই’, বললেন মমতা

২০১২ সালে শীর্ষ আদালত একবার মধ্যস্থতার চেষ্টা করে কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি রমান্না, বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি সূর্য কান্তের সম্মিলিত বেঞ্চ জানায় ওই ব্যক্তি জেলবন্দি হলে সরকারি চাকরিটি খোয়াতে হবে তাঁকে। এরপরে খোরপোষের টাকা কিভাবে পাবেন তিনি? এই সম্পূর্ণ বিষয়টি অভিযোগকারিণীকে তেলেগু ভাষাতেই বুঝিয়ে বলেন প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুনঃ অসম-মিজোরাম সীমান্তে অশান্ত পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি স্বরাষ্ট্রসচিবের

এরপরে তিনি জানতে চান ওই দম্পতি ফের একসঙ্গে থাকতে চান কিনা , দুজনেই সায় দেন তাতে। ভবিষ্যতে এধরনের আচরণ যে না করেন তাঁরা এবিষয়ে সতর্কও করে দেয় আদালত। আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে নিজেদের অবস্থান আদালতকে জানাবেন তাঁরা। নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘পুরোনো সমস্যা ভুলে আবার একসঙ্গে জীবন কাটাতে চান দুজনেই তাই অভিযোগ তুলে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো তাঁদের।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here