মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
কোচবিহার রাসমেলায় আসতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেভাবেই চলছে প্রশাসনিক প্রস্তুতি। শুক্রবার রাসমেলার প্রস্তুতি নিয়ে হয় প্রশাসনিক স্তরে দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক। সেখানে দমকল, বিদ্যুৎ, পুলিশ, পৌরসভা সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাসযাত্রা ও রাসমেলা কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই জেলার মানুষের প্রানের উৎসব এই রাসযাত্রা। ১৮১২ সনে কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণ কার্তিকী পূর্ণিমা তিথিতে এই রাসযাত্রা আয়োজন করেন তার রাজধানী স্থানান্তরের গৃহ প্রবেশ উপলক্ষে। মহারাজাদের কূলদেবতা মদনমোহনের রাসযাত্রা উপলক্ষে এই মেলা আজও হয়ে আসছে কোচবিহারে। দ্বিশত বর্ষ অতিক্রান্ত এই মেলা উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ মেলা হিসেবে পরিচিত। কোচবিহার শহরের এক বিরাট অংশ জুড়ে রাসমেলার আয়োজন হয় পক্ষব্যাপী যা পরিচালনা করে থাকে কোচবিহার পুরসভা।
অন্যদিকে কোচবিহার মদনবাড়িতে রাসযাত্রার আয়োজন হয় দেবোত্ত ট্রাস্ট বোর্ডের পরিচালনায়। রসে ভরা এই রাস। যাকে ঘিরে রয়েছে অনেক গল্প কথা। ঐতিহ্যের এই মেলায় এবারে মুখ্যমন্ত্রীর আসার সম্ভাবনা প্রবল। সম্প্রতি উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রী উত্তরের চার জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে রাসমেলায় আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানায় কোচবিহার লোকসভার কেন্দ্রের সাংসদ পার্থ প্রতিম রায়। এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরের চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি কোচবিহারের দাবি রাজুর
জেলাশাসক পবন কডিয়ান জানান,“রাসমেলার সময়কালে মুখ্যমন্ত্রীর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সেদিকটাও নজর দিয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। শিলিগুড়ির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহার রাসমেলায় আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তাই আমরা আশা করছি তিনি মেলায় এবার আসবেন।”
এবিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন,“মুখ্যমন্ত্রীকে রাসমেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তিনি এবছর এই মেলায় আসছেন। ২০৭ বছরের এই মেলায় এখন পর্যন্ত কোনো মুখ্যমন্ত্রী আসেন নি তিনি এলে এই উৎসবের উজ্জ্বলতা আরও বৃদ্ধি পাবে একই সাথে রাসমেলাকে আন্তর্জাতিক তকমা দেবার আবেদন করা হবে বলে জানান রবি বাবু।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584