পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
শনিবার বিশ্বভারতীতে আসেন হাইকোর্টের নিযুক্ত চার সদস্যের কমিটি। প্রথমে তারা মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন এরপর বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় ভবনে ব্যবসায়ী, আশ্রমিক, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু বৈঠকে মেলে না কোন সমাধান সূত্র।
ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল সিং বলেন, “বৈঠকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সুরে সুর মিলিয়ে হাইকোর্ট থেকে নিযুক্ত চার সদস্যের কমিটি পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে ফেলতে হবে বলে এমন সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যবসায়ী সমিতি সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসে।” শর্মিলা রায় জানিয়েছেন, “আজকের বৈঠকে তাকে ডাকা হয়নি।” কেন কি কারণে তিনি ডাক পাননি সে বিষয়ে তিনি জানেন না।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামে চারা তৈরির প্রশিক্ষণ শিবির ও বীজ বপন কর্মসূচি
তিনি উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে বিশ্বভারতীর বিভিন্ন প্রান্তে আরও পাঁচিল দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আজকের বৈঠকে সুপ্রিয় ঠাকুর সহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা প্রত্যেকেই মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। যদিও আজকের বৈঠকে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ডাকা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু বৈঠকের খবর পেয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্র কেন্দ্রীয় ভবনে যায় কমিটির সাথে কথা বলতে। অভিযোগ, সেখানে ছাত্রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুনঃ কৃষিমান্ডি তোলা হবে না-বিল পড়ে জানালেন সায়ন্তন
বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের ছাত্র অভিষেক ঘোষ জানায়, “আচমকাই খবর আসে কেন্দ্রীয় ভবনে চার সদস্যের কমিটির সাথে বৈঠক করছে উপাচার্য। আমরা সেখানে গিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করি।” ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনভাবেই পৌষ মেলার মাঠ ঘেরা যাবে না। প্রয়োজনে মেলার মাঠের চারিদিকে বৃক্ষ রোপণ করে সৌন্দর্যয়ান করা হোক। তারা এও জানায় নতুন করে যে গেটটি পুনরায় র্নির্মাণ করা হচ্ছে সেই গেট কোনভাবেই বন্ধ করে রাখা যাবে না। সর্বক্ষণ মানুষের চলাচলের জন্য খোলা রাখতে হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584