জোর করে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত ফাঁস

0
426

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভাঙ্গড়:

মানসিক ও আর্থিক নির্যাতনের  এক অনন্য নিদ‍র্শন -লাগাতার খুনের হুমকি ও বেতন আটকে চাকরী ছেড়ে দিতে বাধ্য করতে চাইছে গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা অন্যান্য কর্মীরা-অভিযোগ এমনই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন পুজোর আগে সব সরকারি ডিপার্টমেন্টে কর্মরত কর্মচারীরা বেতন পাবেন, পেয়েও গেছেন সবাই, পাননি শুধু এই জেলার ভাঙ্গড় ব্লক – ১ এর শকশহর পঞ্চায়েতের গ্রাম রোজগার সেবক পদে বিগত তিন বছর ধরে কর্মরত সরকারি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এক অসহায় কর্মী মহম্মদ আলম মোল্লা। বেতন পেয়েছেন তার সকল সাথী বন্ধু কর্মীরা।সবাই হতাশ তার এই ব্যাপারে।কি কারণে এমন ঘটনা।এই পরিস্থিতিতে তদন্তে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর করুণ কাহিনীর কথা।ওই ব্লকের একাধিক কর্মীর কাছ থেকে উঠে আসে অন্য তথ্য ।ওই কর্মীটিকে নাকি বেশ কিছু বছর থেকে জোর করা হচ্ছে কাজ ছেড়ে দেবার জন্য,যার মুলে রয়েছে ব্লকের কিছু আধিকারিক। এর আগেও নাকি ওই কর্মীটির বেতন আটকানো হয়। কর্মীটি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বেতন পায় কিন্তু পরের বছর এপ্রিলে আর সেটা নাকি এম. জি. ন. আর. এ জি. এ এর উপর স্তরের হস্তক্ষেপ এর জন্য বন্ধ করা হয় তার বেতন। কিন্তু কেন‌ই বা এমন ভাবে মাইনে আটকানো হয়? প্রশ্ন সবারই থেকে যায়।উঠে আসে আরো এক তথ্য।পাশের পঞ্চায়েতের এক কর্মী এর নাকি এভাবে বেতন বন্ধ রাখা সহ মানসিক নির্যাতন এর জন্য নাকি সে কাজ এ চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে (এই ব্লক এর নাকি এটাই রীতি, প্রতিবাদ করলেই, এমন করা হয়)সত্যি কি এভাবে এই সকল কর্মীর বেতন এভাবে আটকানো যায়? কিন্তু সরকারি নির্দেশ বলছে, প্রতি মাসের বেতন প্রথম সপ্তাহে দিতে হবে।এই কর্মীদের কে যখন তখন গায়ের জোরে বহিষ্কার করা যাবে না ।

সেই কর্মী

আলম শেষ দুই মাসে অনেকবার বি ডি ও এবং প্রধানকে অনুরোধ করেছে (চিঠি দিয়েছে) যে, তার পরিবারের জন্য বেতন দরকার, তবুও বন্ধ তার বেতন।কোনো সদুত্তর দেয়নি, বি ডি ও এবং প্রধান কি কারণণ বন্ধ? আলম এর দীর্ঘ তিন বছর এ নেই কোনো শোকজ এখন ও তার বিরুদ্ধে নেই কোনো আর্থিক দুর্নীতির খবর নেই ।তাহলে কেন এমন করা হচ্ছে তার সঙ্গে চিন্তিত পরিবারের মানুষ সহ বিভিন্ন মানুষজন।বিশেষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, আলমের পোস্টে দরখাস্ত করেছিলো ওই অঞ্চলের প্রধান স্বপনা নস্কর এর স্বামী ,উনি নাম্বার কম এর জন্য চাকরি পাননি।তার ফলেই এই ঘটনার সূত্রপাত।এর আগে নাকি প্রধান এর নির্দেশে হামলা হয় আলম এর উপর।পুলিশ অভিযোগও হয়, প্রধান আবার মিটিয়েও নেন।মানসিক ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল আলমকে কাজ ছেড়ে দিতে, কারণ কিছু দিন আগে নাকি প্রধানের স্বামী রেজিস্টার খাতায় একদিনে কয়েক মাস এর স্বাক্ষর করেন পঞ্চায়েত এর অতিরিক্ত কর্মী হিসাবে।আলম এটি দেখে ফেলেন রীতিমতো প্রতিবাদ‌ ও করেন। প্রধান এর প্রিয় এক স্থানীয় কর্মী ভি. এল. এ নাকি আবার নিজের নামে স্বাক্ষর করে, এক সাথে গ্রামের সুপারভাইজর পদের টাকাও তোলেন। সেখানেও প্রতিবাদ করেন আলম।শুরু হয় আলম এর উপর খুনের হুমকি।অফিসে আসতে এবং কাজ না করতে দেওয়ার হুমকি প্রদান করা হয়।প্রতিদিন এর খাতায়(দৈনিক খাতা) স্বাক্ষর করতেও দিচ্ছেন না প্রধান স্বপনা নস্কর।প্রধান এর বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলেছেন আলম।তার উপর নির্যাতন এর কথা লিখিত জানিয়েছেন বি ডি ও ,ও.সি , সি আই , এ স পি, এস ডি ও এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। বর্তমানে কর্মীটি বিচারের আশায় দিন গুনছেন। মানসিক ভাবে তিনি অসুস্থ ।জানিয়েছেন তার বন্ধু বান্ধব ও পরিবারের লোকজন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here