নবান্নের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের

0
998

নিজস্ব সংবাদদাতা, নিউজফ্রন্টঃ

এই খরার বাজারে এক সাথে দু দুটো চাকরি।শুধু তাই নয়, অন্যায় বেআইনী ভাবে তিনি শিক্ষাদানের চাকরি করছেন।একই সাথে কেন্দ্রীয় সরকারি বিদ্যালয়ে এবং রাজ্য সরকারের মাদ্রাসায়।দুই চাকুরি থেকেই তিনি বহাল তবিয়তে বেতন নিচ্ছেন। তিনি হলেন মুস্তাক আলি।বীরভূমের মেটাকোনা আবু তাহের সিনিয়র মাদ্রাসার বাংলার শিক্ষক,একই সাথে তিনি ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জওহর নবোদয় বিদ্যালয়েরও শিক্ষক।

আবিদ হোসেনের কাছে অভিযোগ পত্র

বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম নামক এক সংগঠনের পক্ষ থেকে বীরভূম জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোন কাজ হয়নি বলে ঐ সংগঠনের দাবি।অবশেষে আজ ফোরামের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী,সংখ্যালঘু দফতর এবং ডিএমই অধিকর্তার কাছে অভিযোগ জানানো হয়।একই সঙ্গে কাঁথি রহমানিয়া হাইমাদ্রাসায় তসলিমা খাতুনের নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ তুলে এই সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে দ্বারস্হ হোন। ফোরামের দাবীর বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পি বি সেলিমকে স্মারকলিপি

তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, তিনবছর শিক্ষকতা না করেও এইরকম ৮৫ জনের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বেতন দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন নবান্নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের একাংশ। ফলে রাজ্যের কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হচ্ছে।

এবিষয়ে এই সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ কাইসার রশিদ বলেন,”কোর্ট নির্দিষ্ট করে বলে দিল যে সঠিক তদন্ত করে ও ওয়ার্কডান সার্টিফিকেট দেখে বেতন দিতে । কিন্তু কোন তদন্ত ছাড়াই নবান্ন থেকে ডিএমইকে বেতন ছাড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে । তাদের নাম করছিনা কিন্তু এতে ছোটখাটো কর্মচারী নয় , নবান্নের পদস্থ আধিকারিকরা যুক্ত আছেন।”

উল্লেখ্য, নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক ফোরাম সদস্য  মারফত জানা গেছে তাদের অভিযোগের তীর দুই আধিকারিক- শাকিল আহম্মেদ ও সুব্রত বিশ্বাসের দিকে।

 

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here