কলেজে কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে বাড়ছে জট

0
55

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

Complaints about recruitment of the staff in the college
নিজস্ব চিত্র

কুমারগঞ্জ কলেজে ষোলজন কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিতর্ক পরবর্তী সময়ে কলেজ অধ্যক্ষ-র আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য ঘিরে ফের বিতর্কে কলেজের প্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়া পদ্ধতি।কিছুদিন পূর্বে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কলেজ সূত্রে জানা যায় কলেজ কর্তৃপক্ষের সেই জারি করা বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ১২২ জন প্রার্থী আবেদন করে।এরপর কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় ৭৭ জন প্রার্থী পরীক্ষায় বসে এবং তার মধ্যে ৫৯ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।এরপর নিয়োগ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকা কম্পিউটার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ৫৯জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৩ জন প্রার্থী পরীক্ষায় বসেন।সম্প্রতি দিন কয়েক পূর্বে কুমারগঞ্জ কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় সফল ১৬ জনের একটি চূড়ান্ত নামের তালিকা প্রকাশ করে এবং সফল প্রার্থীদের নিয়োগপত্র প্রদান করে।নিয়োগ পরবর্তী সময়ে দেখা যায় নিযুক্ত হওয়া ঐ ১৬ জনের অধিকাংশই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের আত্মীয় পরিজন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সাধারণ জনগণ সহ রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি শাসক দলের একাংশের নেতারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব। এদিন যেন সেই বিতর্কের আগুনে পুনরায় ঘৃত সংযোগ ঘটল।কুমারগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ অসিত কুমার পালের আত্মপক্ষ সমর্থন সম বক্তব্য ঘিরে ফের বিতর্কে কুমারগঞ্জ কলেজের কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া।কুমারগঞ্জ কলেজে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া কি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত ছিল এই প্রশ্নের উত্তরে কুমারগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ অসিত কুমার পাল কোন প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে বলেন যদি কেউ(কোন প্রার্থী) বলে আমার মা বাধ তৈরী করে দিয়েছে এই কলেজটিকে বাঁচানোর জন্য,আমার মা এম.এল.এ ছিল এবং তাতে যদি কোন বিশেষজ্ঞ (পরীক্ষক) মনে করে উনার(সেই প্রার্থীর) অবদান আছে, এরা(ঐ প্রার্থীরা) কলেজকে ভালবাসে, যদি উনি(বিশেষজ্ঞ পরীক্ষক) দিয়ে থাকেন এতে আমার কিছু করার নেই।এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন ইন্টারভিউতে গভীরভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তুমি কি? তোমার পারিবারিক ভিত কি?এরপর কলেজ অধ্যক্ষ এও বলেন এগুলি জিজ্ঞাসা করে উনারা(বিশেষজ্ঞ পরীক্ষকরা) যদি অনুপ্রাণিত হন বা উনারা(বিশেষজ্ঞ পরীক্ষকরা) যদি ভালবেসে দিয়ে থাকেন তাহলে আমি প্রিন্সিপাল হিসাবে বলব ঠিকই করেছে।কুমারগঞ্জ কলেজ অধ্যক্ষের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে সাধারণ চাকুরপ্রার্থী থেকে শুরু করে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি প্রার্থী বাছায়ের ক্ষেত্রে পারবারিক ভিত অন্যতম মানদন্ড। সংবাদমাধ্যমের সামনে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক তথা কুমারগঞ্জের বাসিন্দা বিপ্লব মন্ডল।এদিন বিপ্লব মন্ডল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন কুমারগঞ্জের যত জন মেধাবী ছাত্র ছাত্রী আছে তাদের সাথে ঐ ১৬ জন প্রতিযোগীতায় বসুক,দেখে নিক, তাদের থেকে মেধাবী ছাত্র ছাত্রী আছে কিনা। অপরদিকে জানা গেছে বিজেপির যুব সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা-র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটি ইতিমধ্যেই কুমারগঞ্জ কলেজে এই কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিতে চলেছে। এদিন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা-র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্ত বলেন আমরা কুমারগঞ্জ কলেজে কর্মী নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে কুমারগঞ্জ কলেজে খুব শীঘ্রই ডেপুটেশন দেব।

আরও পড়ুন: বেআইনী বালি উত্তোলন রুখতে অভিযান 

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here