কোভিড আক্রান্ত এডিএম, আতঙ্ক উত্তর দিনাজপুরে

0
41

নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ

মালদহের পরে এবার করোনা থাবা বসালো উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনে। জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যদিও তাকে শুক্রবার কলকাতার ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

government office | newsfront.co
ফাইল চিত্র

ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেলা প্রশাসনিক ভবনের কর্মী ও আধিকারিকদের মধ্যে। প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত জেলাশাসকের পজিটিভ রিপোর্ট আসাতে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ একদিনে করোনা আক্রান্ত ৮৫, নড়েচড়ে বসল প্রশাসন

এই সময়ে তার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার গোটা জেলা প্রশাসনিক ভবন স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার ক্ষেত্রে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে করোনায় আক্রান্ত অতিরিক্ত জেলাশাসকের দফতরটিকেও। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ হচ্ছে প্রশাসনিক ভবনে। অন্যদিকে রায়গঞ্জ থানার দুই পুলিশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারে ফের ২ জন করোনা আক্রান্ত

অন্যদিকে জেলা প্রশাসনিক ভবনে এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় কর্মীরা দাবি তুলেছেন, অতিরিক্ত জেলাশাসক বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছেন। সে কারণে সমস্ত কর্মীদের কোভিড পরীক্ষা করা হোক।

অন্যদিকে, করোনাকে হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ হয়ে উঠেছে দেড় মাসের এক শিশু। বৃহস্পতিবার তাকে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ার কোভিড হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ছুটি হয়েছে তার মা বাবারও। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে দিন দশেক আগে করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন রায়গঞ্জ থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও তার স্ত্রী।

পরে জানা যায় তাদের এক মাসের সন্তানও করোনা আক্রান্ত। এর পর মা-বাবার সঙ্গে চিকিৎসা শুরু হয় শিশুটিরও। বৃহস্পতিবার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছে শিশুটি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here