নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ত্রস্ত গোটা পৃথিবী। ভারতেও জাঁকিয়ে বসেছে এই মারণ ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক হিসাবে কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে এবার ভারতে তৈরি সম্ভাব্য প্রথম কোভিড-১৯ টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’-এর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ক্লিনিকাল ট্রায়াল-এর সম্মতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।

অর্থাৎ মানুষের শরীরে পুশ করা হবে ওষুধ। দেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলে জুলাই মাসে শুরু হবে এই ট্রায়াল। ভারত বায়োটেক, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি)-র যৌথ উদ্যোগে করোনাভাইরাসের এই প্রতিষেধকটি তৈরি করা হয়েছে।
COVAXIN™, India's 1st indigenous Covid-19 vaccine, developed by Bharat Biotech successfully enters human trials.
@ICMRDELHI @DBTIndia @icmr_niv #BharatBiotech #COVAXIN #covid19 #Collaboration #Indiafightscorona #makeinindia #ICMR #coronavirusvaccine pic.twitter.com/MSehntuE8d
— BharatBiotech (@BharatBiotech) June 29, 2020
প্রথম দফায় মানবদেহে প্রয়োগ করে দেখা হবে, ওষুধটি কীরকম আচরণ করছে। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটছে কিনা। ঘটলে ওষুধের উপাদানে বদল আনা হবে। এর পরে দ্বিতীয় দফায় টীকাটি কতটা পরিমাণে মানবদেহে ব্যবহার করতে হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। সবমিলিয়ে মাস চার-পাঁচ লাগতে পারে এই টীকার সমস্ত রকম পরীক্ষা শেষ হতে। তার পরেই সম্ভাবনা রয়েছে এদেশেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করার।
আরও পড়ুনঃ কোভিড-১৯ এখনও অনেকদূর যাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
পোলিও, র্যাবিস, জাপানিজ এনসেফেলাইটিস, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বিভিন্ন ভাইরাসঘটিত রোগের টীকা উদ্ভাবনে ইতিমধ্যেই খ্যাতি আছে ভারত বায়োটেকের। ফলে অনেকেই আশা করছেন, কোনও ভাবে যদি এইবারও সঠিক প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলে এই সংস্থা, তবে তা ইতিহাস সৃষ্টির মুখে পৌঁছে দেবে ভারতকে।
আরও পড়ুনঃ ফের জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
গত মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, সাধারণত এমন ওষুধ তৈরি করতে ১৫ বছর ধার্য করা হলেও অতিমারীর প্রকোপের জেরে সেই সময় কমিয়ে ১২ মাসে নামানো হয়েছে এবং তার জন্য ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, করোনার ভ্যাক্সিন সৃষ্টির বিশ্বব্যাপী দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে সম্ভবত ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানব শরীরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সফল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584