তৃণমূলের উন্নয়নের শরিক হতে দলবদল সিপিএম প্রার্থীরা

0
113

নিজস্ব সংবাদদাতা,বর্ধমানঃআউসগ্রাম 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধুমাত্র জেলা পরিষদের একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে বিজেপির বিকাশ ভক্ত। এই জেলা পরিষদের 52 নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী রামকৃষ্ণ ঘোষের সঙ্গে লড়াইয়ে বিজেপির বিকাশ ভক্তের সাথে।
এছাড়াও গ্রাম পঞ্চায়েতের কটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল তৃণমূল।
শুক্রবার সিপিএমের তরফ থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে কয়েকটি আসনে সিপিএমের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল। এদিন এলাকার মানুষ ও বাড়ির মহিলারা উন্নয়নের নিরিখে তৃণমূল ভালো কাজ করেছে প্রার্থীদের বোঝানোর পরে সিপিএমের প্রার্থীরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিল। জানা গিয়েছে যে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন শেফালী হেমব্রম মোহাম্মদ আলী মোল্লা সুকুমার বাউরী এরা সকলেই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলো তৃৃণমূলের প্রার্থীরা।
শুধু প্রার্থীপদ প্রত্যাহারে শুধু নয় তৃণমূলের প্রাক্তন সম্পাদক আবু হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে ৩০ জন নেতৃস্থানীয় সিপিএম নেতা নেত্রীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করল।
অভিরামপুর তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় সিপিএম নেতা নেত্রীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিলেন স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি রাম কৃষ্ণ ঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলীসহ অনেকে।
সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দান করে আবু হোসেন মোল্লা ও শেফালী হেমব্রম রা বলেন যে বিগত দিনে এরকম কোনো উন্নয়ন আমরা দেখিনি চোখে পড়েনি উন্নয়নের শরিক হতে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সুচিন্তিত উন্নয়নমূলক কাজ আমাদের সকলের জীবন যাপনে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে শুরু করে সবুজসাথী যুবশ্রী সমব্যথী সামাজিক প্রকল্প হিসেবে আমাদের গরীব মানুষের পক্ষে ভীষণ উপকারে লেগেছে তাই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়ে যোগদান করলাম।
স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ ঠান্ডার ও পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলী জানিয়েছেন যে আমাদের এলাকায় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল কে কেন্দ্র করে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং বিরোধীরাও বলতে পারবেন না যে আমাদের এখানে কোনো সন্ত্রাস করেছে তৃণমূলের লোকজনেরা। আমরা গণতন্ত্র বিশ্বাস করি এবং উন্নয়নের দিকে এলাকার মানুষ আমাদের সাথে আছে তাই আমরা চাই বিরোধীরাও প্রার্থী দিক কিন্তু উন্নয়নের নিরিখে বিরোধীরাও কেউ প্রার্থী হতে চায়নি। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত সমিতি যেমন জিতেছি তেমনি জেলা পরিষদের একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলাম অর্থাৎ আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত বোড হিসাবে গড়ে উঠল।
জানা গিয়েছে যে আউসগ্রাম 2 নম্বর ব্লকের জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা দুটি। একটি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল অন্য আরেকটি আসনে তৃণমূল এর সাথে ভোটযুদ্ধে নির্বাচন হবে বিজেপির প্রার্থী বিকাশ ভগতের সাথে।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ২১টি। সবকটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।
গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১১৩টি। এর মধ্যে মাত্র তিনটি আসনে বিজেপির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।
তাই আউসগ্রাম 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে যেমন রাখল তেমনি বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত ভোট করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন ব্লক সভাপতি রাম কৃষ্ণ ঘোষ। তাই দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে কোনো কিছুই সে রকম নজরে পড়ল না আউসগ্রাম 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়।
শুক্রবার পঞ্চায়েত সমিতিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করে এদিন প্রত্যাহার করে নিলেন শেফালী হেমরম ও সুকুমার বাউরি মোহাম্মাদ আলী মোল্লা। প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়া সাথে সাথে যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সিপিএম দল ছেড়ে আসা ঐসকল নেতা-নেত্রীরা বললেন উন্নয়নের সাথে নিজেদেরকে অংশগ্রহণ করাতে করানোর জন্যই তৃণমূলে যোগ দান করলাম। তাই আমাদের এলাকায় উন্নয়নের নিরিখে কেউ প্রার্থী হতে চাননি কারণ আমরা গরিব মানুষ উন্নয়ন চায় সেই উন্নয়ন তৃণমূল কংগ্রেস করে দেখিয়েছে তাই প্রার্থী হওয়ার প্রয়োজন আর মনে করলাম না।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here