নিজস্ব সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ারঃ
চলতি বছরে বন্যায় বাসের সাকো ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। নদীর ওপর কোন ব্রীজ নেই। ফলে নদী ভেঙ্গে মানুষকে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বইয়ের ব্যাগ মাথায় নিতে নদী পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে। এমনি ঘটনা ঘটছে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের ময়রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের তালুকেরতাড়ি এলাকায়। দীর্ঘ ৪০ বছর থেকে একই সমস্যার সন্মুখিন হোন এলাকার মানুষেরা। নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারন নাগরিক সকলেই ।
কিন্তু কোন পক্ষ থেকেই কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এখানে হলং নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের দাবি তুলেছে মানবিক মুখ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা । মানবিক মুখের সম্পাদক অভিজিত সরকার বলেন, “ স্থানিয় প্রশাসনিক কর্তারা ব্লক প্রশাসন থেকে বিষয়টি অনুমোদনের দোহাই দিয়ে সমস্যা এড়িয়ে যেতে চাইছেন । কিন্তু সমস্যাটির সমাধান জরুরী”। কামিনিবালা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান সহায়িকা অঞ্জলি সাহা বলেন, “ বাচ্চারা এত কষ্ট করে স্কুলে আসে দেখলে চোখে জল আসে। এখানে একটি ব্রীজের দাবি দীর্ঘদিনের কিন্তু সেই ব্রীজ কেন হচ্ছে না তা বোঝা যাচ্ছে না”। আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক নিখিল নির্মল বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানিয় বাসিন্দা হরমোহন বিশ্বাস বলেন, “ একই সমস্যা চলছে দীর্ঘ ৪০ বছর থেকে । বন্যা এলেই বাসের সাকো ভাসিয়ে নিয়ে যায় হলং নদী। তার পর নদী পেরিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। নইলে ৫ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এই ঘটনার অবসান চাই”। স্থানিয় বাসিন্দা অনিতা সরকার বলেন, “ চারিদিকে এত উন্নয়ন হচ্ছে । আর আমাদের এখানে এখনও একটা ব্রীজ হতে পারল না। ব্লক সদরের সাথে যোগাযোগ করতে হলে আময়াদের ৫ কিলোমিটার ঘুরে যায়ায়াত করতে হয়। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ে এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। বই খাতা ভিজিয়ে তাদের স্কুলে যেতে হয়। আমরা এখানে একটি ব্রীজ নির্মানের দাবি জানাচ্ছি”।
জানা গেছে স্থানিয় ছেলেমেয়েরা স্থানিয় কামিনিবালা শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং ফালাকাটার গাপ্পু মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। এস এস কে বা হাইস্কুল দুই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরকেই নদী ডিঙ্গিয়ে স্কুলে যেতে হয়। আর নদীতে জল খুব বেশি হলে আর স্কুলে যাওয়া হয় না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584