প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে সুটরা ফেরিঘাটে পারাপার

0
97

শ্যামল রায় কালনাঃ

প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শয়ে শয়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের পারাপার করতে হয় খড়ি নদীর ফেরিঘাট দিয়ে। বর্ষাকালে নদী ভরপুর হয়ে পড়ায় অনেকের কাছেই আশঙ্কা থেকে যায় দুর্ঘটনার। দুটি নৌকা পাশাপাশি রেখে তার উপরে বাঁশের মাচায় যাত্রীদের পারাপার করতে দেখা যায়।বুধবার নৌকা পারাপারের এরকম একটি দৃশ্য ধরা পড়লো নিউজফ্রন্ট সাংবাদিকের ক্যামেরায়।

প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার।নিজস্ব চিত্র

বর্ষাকালে এই ফেরিঘাট দিয়েই বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও এলাকার কয়েকশ’ স্থানীয় বাসিন্দারা সুটরা ফেরিঘাট দিয়েই যাতায়াত করে থাকেন। ছোট নৌকায় কখন যেন দুর্ঘটনা ঘটে,এই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তারা পারাপার করে কাজের প্রয়োজনে। অভিযোগ প্রশাসন কর্তাব্যক্তিরা এই ফেরিঘাট নিয়ে কোনোরকম ভাবনা চিন্তা করেন না। অথচ বছরের পর বছর জেলা পরিষদ এই ফেরিঘাট থেকে রাজস্ব বাবদ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থ নিয়ে থাকে। অথচ যাত্রীসাধারণের অভিযোগ ফেরিঘাটের উন্নতি বলতে কিছুই নেই।পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং ফেরিঘাটে উঠানামার জন্য পাকা রাস্তা কিছুই নেই।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের দাবি এই ফেরিঘাটকে উন্নয়নমূলক কাজে ঢেলে সাজানো হোক। অথচ এই ফেরিঘাট দিয়েই কুসুম গ্রাম পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের মাধ্যমের যাতায়াতকারী প্রধান মাধ্যম,যা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশনে যেতে হলে এই সুটরা ফেরি ঘাট পার হতেই হবে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যে বামপন্থীরা নিশ্চুপ থেকেছে আবার সরকার পরিবর্তনের পর তৃণমূলের সরকারের বিধায়ক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরাও নিশ্চুপ। তাই সুটরা ফেরিঘাট কে ঢেলে সাজানোর দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ফেরিঘাটের মাঝি পলাশ ঘোষ জানিয়েছে যে তাদের ফেরিঘাটে ১৭ টি লাইফ জ‍্যাকেট রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি লাইভ জ্যাকেট পুরনো আর দশটি লাইফ জ্যাকেট  নতুন।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে পুরনো লাইফ জ্যাকেটগুলো কেউ পড়তে চায় না।

পারাপার।নিজস্ব চিত্র

তবে বুধবার সুটরা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গিয়েছে কোনো যাত্রী সাধারণের জন্য লাইভ জ্যাকেট নেই ঘাটের পক্ষ থেকেও কোন লাইভ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি যাত্রীদেরকে।
অথচ ফেরি ঘাটের মালিক নবকুমার ঘোষ এক বছরের জন্য এই ফেরিঘাটটি জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়ে পরিচালনা করছেন।বর্ষাকালে নদীর যা চেহারা হয় তাতে প্রাণ সংশয়ের বিষয়টি সবসময় থেকে যায় তাদের কাছে। তাই দাবি উঠেছে ফেরিঘাটের উন্নয়নের সাথে একটি পাকা সেতু তৈরি হোক।
এই প্রসঙ্গে প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানিয়েছেন সমগ্র বিষয়টির উপরে আমাদের নজরদারি রয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here