সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
পুজো আসছে। শারদীয়া উৎসব উপলক্ষে ঘরে ঘরে নতুন জামা কাপড় কেনার হিড়িক। কিন্তু অনেক মানুষ তো এমনও আছেন একটি সাধারণ জামা কাপড় কেনার সামর্থ্য তাঁদের নেই। শারদ উৎসবে যখন রাজ্যবাসীর মুখে হাসি তখন এই মানুষগুলোর মুখের হাসি ক্রমশ ফিকে হয়ে যেতে থাকে। তাঁদের কথা ভেবেই মেমারি বাজার ১ পঞ্চায়েতের পল্লীমঙ্গল সমিতি এক অন্যরকম বাজার বসিয়েছে। সেই বাজারের নাম বিনা পয়সার বাজার। এই বাজার প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই বাজারে পোশাক বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে, পোশাক পছন্দ না হলে তা না নেওয়ার অধিকারও আছে।
পূর্ব বর্ধমানে এই প্রকল্প নতুন হলেও মুর্শিদাবাদ বা নবদ্বীপে এই ধরনের বাজার রয়েছে। ক্লাবের সদস্যরা বলছেন, অব্যবহৃত পোশাক যার বাড়িতে যেমন আছে, আলমারিতে তুলে না রেখে ক্লাবের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। সমিতির আর্জি শুনে বহু মানুষ এগিয়ে আসেন। সমিতির ‘ক্লথ ব্যাঙ্কে’ স্থানীয় এলাকা ছাড়াও বর্ধমান, বোলপুর এমনকি অন্যান্য জেলা থেকেও পোশাক পাঠিয়ে দিতে থাকেন বহু মানুষ। সেই পোশাকের পসরা সাজানো হয় ক্লাব ঘরে। আট থেকে আশি, পুরুষ থেকে মহিলা সকলেই পছন্দ করেন পোশাক। সমিতির সদস্যরা বলছেন, এত মানুষ তাঁদের ডাকে সাড়া দেবেন তা তাঁরা শুরুতে ভাবতে পারেননি। যেভাবে বহু মানুষ তাঁদের সাথে যোগ দিয়েছেন তাতে তাঁরা অভিভূত।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে আনন্দ মেলা মেচেদায়
অন্যদিকে পুজোর আগে নিজের হাতে পছন্দ করে পোশাক নিয়ে মুখে চওড়া হাসি পাল্লারোড, মল্লিকপুকুরপাড়ের বাসিন্দাদের। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে আপ্লুত সমিতির সদস্য সত্যজিৎ ঘোষ সহ অন্যান্যরা। ধর্মীয় হানাহানির এই যুগে মানুষের সেবায় বোধহয় পরম ধর্ম এই বার্তাটি নীরবে-নিভৃতে সচেতনভাবে দিয়ে যাচ্ছে মেমারির দলুই বাজার ১ পঞ্চায়েতের পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584