পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
সালিশি সভার নিদানে প্রথমে ঠিক হয় যুবককে বলি দেওয়া হবে,পরে ঠিক হয় কেটে নেওয়া হবে তার দশটি আঙুল।কিন্তু এমন নির্মম নিদানের কারন কি?কেনই বা এমন নিদান দিল গ্রামের মোড়লেরা?এই কুসংস্কারের জন্য নির্মম ভাবে যুবকের দশটি আঙুল কাটা হয়।
ঘটনা বীরভূমের পাঁড়ুই থানা এলাকায়।ডাইন অপবাদে কেটে নেওয়া হল আদিবাসী এক যুবকের দুহাতের দশটি আঙুল।অভিযোগ
সালিশি সভায় বসিয়ে যুবককে আঙুল কাটার নিদান দেয় গ্রামের মোড়লরা।
এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতা বীরভূমে এই প্রথম নয়, এর আগেও এমনই বর্বরতা ঘটে গেছে বীরভূমের বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায়।প্রশাসনিক ভাবে এরকম ঘটনার বিরুদ্ধে বহু বার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের।কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।তারই জ্বলন্ত উদাহরণ বীরভূমের পাঁড়ুই-এর এই ঘটনা। কুসংস্কার এবং মোড়লদের মাতব্বরীতে ফন্দি সর্দারকে খোয়াতে হলো হাতের দশটি আঙুল।
পাঁড়ুই থানার কসবা অঞ্চলের রাধাকেষ্টপুরের বাসিন্দা ফন্দি সর্দার।এই ফন্দি সর্দারের উপর বেশ কিছুদিন ধরে কালা জাদু ভড় করেছে বলে দাবি করে স্থানীয় বাসিন্দারা,এমনই অভিযোগ জানায় ফন্দি সর্দারের পরিবারের লোকজন। এরপর গ্রামে বসে সালিশি সভা।সালিশি সভায় প্রথমেই ঠিক হয় তাকে বলি দেওয়া হবে,পরে সেই নিদান বদলে তার দশটি আঙুল কেটে নেওয়ার নিদান দেয় গ্রামের মোড়লেরা।নিদানের পরই ফন্দি সর্দারের দুই হাতের দশটি আঙুল কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।বর্তমানে ফন্দি সর্দার আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।আতঙ্কের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছে ফন্দি সর্দারের পরিবারের লোকজনেরাও।পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাঁড়ুই থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ আদিবাসীদের জেলা শাসকের অফিস ঘেরাও অভিযান
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584