নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লক জুড়ে হাতির হামলা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার ভোরে শালবনি ব্লকের সাতপাটি অঞ্চলের পায়রাচালী ও কলসি ভাঙা গ্রামে প্রায় ১৫ টি দাঁতাল হাতি ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব করে। ওই গ্রামে শতাধিক বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দল বলে গ্রামবাসীরা জানান।
গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে শনিবার সকালে ফটকা ফাটিয়ে প্রায় পাঁচ ঘন্টার চেষ্টায় গ্রাম থেকে স্থানীয় জঙ্গলের দিকে পাঠায় হাতির দলটিকে। যেভাবে গ্রামে ঢুকে শনিবার ভোরে হাতির দল তাণ্ডব চালিয়েছে তাতে যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাদের আশঙ্কা যেকোন সময় ফের হাতির দল গ্রামে ঢুকে হামলা চালাতে পারে। বিষয়টি গ্রামবাসীরা বন দফতরকে জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও ওই দুটি গ্রামের বাসিন্দারা হাতির হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। অপরদিকে শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ চারটি দাঁতাল হাতি শালবনি ব্লকের কোমর বাঁধি গ্রামে আচমকা ঢুকে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ ধানের বীজ নিয়ে হতাশ চাষীরা
গ্রামে ঢুকে ওই চারটি হাতি ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি করে। গ্রামবাসীরা চাষের জমি থেকে ওই চারটি হাতিকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু হাতি গুলি মাঠেই দাপিয়ে বেড়ায় ।অবশেষে শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ওই চারটি হাতি এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে কোমর বাঁধি গ্রাম থেকে স্থানীয় জঙ্গলের দিকে চলে যায়। যার ফলে হাতি গুলি ওই গ্রামে ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে গ্রামবাসীরা জানান। বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে। একইভাবে আরও কয়েকটি গ্রামে হাতিরদল ঢুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে গ্রামবাসীরা জানান।
আরও পড়ুনঃ একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর তৃণমূলের
তাই শালবনিতে হাতির হামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গ্রামবাসীরা বারবার বন দফতরকে হাতিগুলি অন্যত্র পাঠানোর দাবি জানালেও বনদফতর এখনও হাতিগুলিকে তাড়ানোর কোন ব্যবস্থা করেনি বলে গ্রামবাসীরা জানান। গ্রামবাসীরা আরও হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। সেই সঙ্গে যেভাবে হাতি গুলি গ্রামে ঢুকে পড়ছে তাতে গ্রামবাসীরা হাতির হামলার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বনদফতর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছে, কবে ক্ষতিপূরণ দেবে সেটা বলেনি।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ দিনাজপুরে বাড়ল ই-রিক্সা রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা
বন দফতরের পক্ষ থেকে হাতি যাদের ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতি করেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাতিকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে হাতিগুলির গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584