নিজস্ব সংবাদদাতা, স্পোর্টস ডেস্কঃ
আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই শুরু হল থ্রিলার, রোমাঞ্চ। দেখা গেলো সুপার ওভারও, পেণ্ডুলামের মতো ম্যাচ ঘুরল কখনও দিল্লি এগিয়ে তো কখনও পাঞ্জাব। অবশেষে ম্যাচ সাক্ষী থাকলো সুপার ওভারের। সেটা গ্যালারিতে বসে প্রত্যক্ষ করলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন কিন্তু উত্তর ভারতের ডার্বিতে লড়াই ছিল দিল্লীর কোচ রিকি পন্টিং ও পাঞ্জাবের কোচ অনিল কুম্বলের। আর সেখানে দেখা গেলো অনেক কিছু দিল্লীর স্টোইনিসের ঝোড়ো ব্যাটিংও বোলিং, রাবাডার সুপার ওভারের বোলিং।
অন্যদিকে, পাঞ্জাবের মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাটিং ও –শামির দুরন্ত আগুনের স্পেল, সুপার ওভারে বাজিমাত করল দিল্লি ক্যাপিটালস তবে জিতলো ক্রিকেট। আমিরশাহীর পিচে শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক কেএল রাহুল।
আরও পড়ুনঃ আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচেই সুপার ওভার, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় দিল্লির
শামির বল বুঝতেই পারেনি দিল্লি। ধাওয়ান শূন্য রানে রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। পৃথ্বীশ (৫) এবং সিমরন হেটমেয়ার (৭) রানে শামির বলে আউট হন। এরপরে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার এবং ঋষভ পন্থ দিল্লিকে ম্যাচে ফেরায়। শ্রেয়স করেন ৩৯ রান।
অন্যদিকে, ঋষভের সংগ্রহ ৩১ রান। তবে দিল্লির চিন্তা কিন্তু ছিলই। শেষ তিন ওভারে ম্যাচের রূপ পরিবর্তন করে দেন মার্কাস স্টোইনিস।২১ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন ৭টি চার, তিনটি ছয়।
মূলত তাঁর দৌলতেই দিল্লির রান নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৫৭ রানে পৌঁছায়।বেকায়দায় পড়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রথম পাঁচ ওভারে যেখানে তাঁদের রান ছিল ৩৩/১। সেখানে দশ ওভারে তাঁদের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৫৫। বল করতে এসে পাঞ্জাব কে দুই উইকেট নিয়ে বিপাকে ফেলে দেন অশ্বিন।
আরও পড়ুনঃ আরও দুই ম্যাচ ব্র্যাভোকে পাবে না চেন্নাই
তবে এদিন নিজের বলে ড্রাইভ মারতে গিয়ে কাঁধে চোট পান। পরের ম্যাচে নামা নিয়ে সংশয়। তবে পাঞ্জাবকে এক টানেন মায়াঙ্ক গরওয়াল। লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়েই পালটা লড়াই শুরু করেন। ৪৫ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করার পর খোলস ছেড়ে বেরোন।
মোহিত শর্মার ১৮ তম ওভারে ১৭ রান নেন মায়াঙ্ক।শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রানের। প্রথম তিন বলে চলে আসে ১২ রান। পরের বলে কোনও রান হয় না। তখনও দরকার ছিল ২ বলে ১ রানের। কিন্তু পরপর দুই বলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মায়াঙ্ক এবং ক্রিস জর্ডনকে ফিরিয়ে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরান স্টোইনিস।
শেষপর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু সেখানে বাজিমাত করেন কাগিসো রাবাডা। প্রথম বলে দু’রান দেওয়ার পর পরপর দু’বলে রাহুল এবং পুরানকে ফিরিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার। আর মাত্র তিনরান তাড়া করতে নেমে সহজেই জিতে যায় দিল্লি। ম্যাচের সেরা স্টোইনিস।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584