পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার শুরু করেছিলেন স্বামী।নিত্যদিনই মদ খেয়ে বাড়িতে ফিরে চলত অকথ্য গালগালাজি, মারধর।স্ত্রী মুখ বুজে সহ্য করেছিলেন।ভেবেছিলেন,এক সন্তানের জন্ম দিতে পারলে হয়তো সংসারে সুখ আসবে। সন্তানসম্ভবা হলেন তিনি,কিন্তু ফিরল না সুখ। বরং নিজের জীবন দিয়েই ‘সুখী’ দাম্পত্যের মাশুল গুনতে হল তাঁকে।মদ্যপ স্বামীর মারেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি।মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাড়ুইয়ের দীঘা গ্রামে।
বছর দশেক আগে বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা রাজেশ শাহের সঙ্গে পাড়ুইয়ের দীঘা গ্রামের বাসিন্দা মেহরানের বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে মেহরানের ওপর তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ।ছোটোখাটো কারণে মেহরানকে মারধর করা হত।এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মেহরান।ভেবেছিলেন অশান্তি এবার কমবে!কিন্তু তেমনটা হয়নি।মেহরানের ওপর আরও বেশি অত্যাচার শুরু করেন রাজেশ।দিন দশেক আগে বাড়িতেই মেহরানকে বেধড়ক মারধর করেন রাজেশ।মেহরানের আর্তনাদে স্থানীয়রাই রাজেশের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে উদ্ধার করে।বোলপুরে সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মেহরানকে।কিছুদিন আগে হাসপাতাল থেকে ছুটি পান মেহরান।কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। এরপর বাপেরবাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। দিন চারেক আগে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন মেহরান।তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মেহরানের।পরিবারের তরফে রাজেশের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
আরও পড়ুনঃ পরকীয়ার পরিণতি,খুন হল প্রেমিক
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584