সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থল এবার দুর্গাপুর শহর। আগামীকাল মোদীর সভা ঘিরে রীতিমতো রাজনৈতিক পারদ চড়ছে দুর্গাপুরে।দেখা দিয়েছে বিতর্কও।যেমন দুর্গাপুরে ডিএসপির নেহরু স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর সভা। অথচ অন্য রাজনৈতিক দলগুলি দাবি করছে এই স্টেডিয়ামে আগে কোনদিনই রাজনৈতিক সভা হয়নি।
শুধুমাত্র খেলাধুলার জন্য এই মাঠ ব্যবহার করা হয়। কলকাতার অনেক ক্লাব এখানে খেলে গিয়েছে। তাহলে হঠাৎ করে রাজনৈতিক সভা করতে অনুমতি কেন দেওয়া হলো?কংগ্রেস নেতা দেবেশ চক্রবর্তী অথবা সিটু নেতা সৌরভ চক্রবর্তী বলছেন এই সভার অনুমতি দেওয়ার পর মাঠের যে ঐতিহ্য ছিল সেই ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কুকুর নিধনের ঘটনার পক্ষে চিকিৎসকের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক
পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই অবশ্য এই অভিযোগগুলিকে নস্যাৎ করে বলছেন প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুরে আসছেন ৪১ বছর পর তাঁকে স্বাগত জানানো উচিত।
তবে অনেকেই মনে করছেন হিন্দি ভোটে নজর দিতেই প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুরকে বেছেচেন। বিজেপি নেতারা মনে করছেন, একের পর এক শাসকদলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাঁদের নেতাদের নিয়ে সাধারণ মানুষ এক হচ্ছেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী আসছেন এখানে।
কার্যত তা ভোটে যথেষ্ট কার্যকারী হবে। লক্ষণবাবু বলছেন শিল্পাঞ্চলে তাঁরা ভাল সংগঠন তৈরি করেছেন। তাছাড়া শাসকদল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ হয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, আসানসোলে বিজেপির আর প্রভাব নেই। তাদের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি জনগণ বুঝতে পেরেছেন। আসানসোলে প্রধানমন্ত্রী সভার জায়গা না পেয়ে তাদের দুর্গাপুরকে বাছতে হয়েছে।
সভার প্রস্তুতি শেষ দিন আজকেই। তাই বিজেপির প্রথম সারির নেতারা মাঠ পরিদর্শনে আসছেন। তাঁদের আশা প্রধানমন্ত্রীর এই সভাই আগামীদিনে এখানকার সংগঠনের অন্যতম মূল রূপকার হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584