নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দল, AIMIM নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি সহ সাংবাদিক শাবা নকভি, সংখ্যালঘু নেতা শাদাব চৌহান, ধর্মীয় নেতা মৌলানা মুফতি নাদিমের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ‘ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন (আইএফএসও) ইউনিট’-এর ডেপুটি কমিশনার কেপিএস মালহোত্র জানিয়েছেন, হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়েছে। দ্বিতীয় এফআইআরে নাম রয়েছে নবীন, শাবা-সহ আট জনের। হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র পূজা শাকুন পাণ্ডেও রয়েছেন সেই তালিকায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে অনিলকুমার মীনা, গুলজার আনসারি, আবদুর রহমানের নামেও দায়ের হয়েছে এফআইআর।
হজরত মহম্মদ সম্পর্কে জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যম টাইমস নাউ-এর এক আলোচনা সভায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন নূপুর শর্মা যিনি এই কয়েকদিন আগেও ছিলেন বিজেপির ঘোষিত মুখপাত্র। আর এই মন্তব্যের জেরেই বিষয়টি গড়িয়েছে আন্তৰ্জাতিক স্তরে। ইসলামিক দেশগুলির কট্টর সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। কাতার এবং কুয়েতে ডেকে পাঠানো হয় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে। তিনি সেখানে সরাসরি বলেন যে এটি ভারত সরকারের বা বিজেপির অবস্থান নয় কিছু ‘ফ্রিঞ্জ এলিমেন্ট’ এমন মন্তব্য করেছে। কিন্তু তাতেও গলেনি বরফ।
এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে গেরুয়া শিবির। প্রথমেই নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দলের ওপর নামে শাস্তির খাঁড়া। নূপুরকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় ও নবীন জিন্দলকে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584