সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
সারা বছর তাঁদের সেভাবে খোঁজ করে না এ সমাজ।কিন্তু শীতের আমেজ পড়তেই যাঁদের কাছে প্রথমেই মানুষ দৌড়ে যান তাঁরা হলেন লেপ তৈরির কারিগর। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শীতের আমেজ।সে আমেজ ছুঁয়েছে বর্ধমানকে।তাই আর দেরি না করে সবাই ছুটছেন তাঁদের কাছে লেপ তৈরীর জন্য।বর্ধমানের বাজার ঘুরে দেখা গেল এখন সেই লেপ কারিগরদের না খাওয়ার সময় নেই। নেই কথা বলার ফুরসত।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লেপ কারিগরের বক্তব্য, বছরের সারাটা সময়ই আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায়।এই সময়টিতে ব্যবসায় একটু লাভের মুখ দেখি আমরা।জানা গেল, লেপ তৈরিতে কার্পাস তুলাই বেশি ব্যবহার হয়।এর আবার ভাগ আছে — কম্বার, এসকম্বার, থ্রেড কম্বার, রকটন ও পলি তুলা। রকমভেদে প্রতি কেজি কার্পাস তুলার দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।লেপ সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে — সিঙ্গেল, সেমি ডবল ও ডবল। প্রতিটি সিঙ্গেল লেপ ৯০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা,সেমি ডবল ১ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার টাকা এবং ডবল আকারের লেপ বানাতে ১ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে।পুরোনো লেপ নতুন করে বানাতে প্রায় অর্ধেক খরচ হয়। লেপের কভারের দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
কেউ কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন।আবার কেউ নতুন তুলা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছে লেপ, তোষক ও বালিশ। লেপ তোষকের কারিগর আজহার হানিফ জানান,বছরের বেশিরভাগ সময়ে অন্য কাজ করেন।শীত এলেই আমাদের কদর বেড়ে যায়।
যদিও অনেকেরই মত এখন অনলাইন শপিং এর ফলে লেপ-তোষক তৈরির যে রেওয়াজ ছিল তা ধীরে ধীরে কমছে এবং অনেকেই এইভাবে তোষক তৈরি না করিয়ে রেডিমেড তোষক দোকান থেকে কিনে নিচ্ছে তাতে এই ব্যবসা কিছুটা মার খাচ্ছে।যদিও ষাটোর্ধ্ব সুরঞ্জন মাইতি বলেন, অনলাইনে তোষকের সাথে কোনভাবেই এই লেপ বা তোষকের তুলনা করা যায় না। দুটোর পার্থক্য গুণগতমান তা ঠাণ্ডার রাত্রে গায়ে নিলেই বোঝায়।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবারের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগে জুটলো মার
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584