রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় দিল্লি সরকারে ধোকড়ার চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী

0
128

তপন চক্রবত্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ

দিল্লি সরকারের বানানো উত্তর দিনাজপুরের সুরসা গ্রামের ধোকড়ার কদর ক্রমশ বাড়ছে। সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকারের জেলা শিল্পকেন্দ্র।বিরল দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য খুব কম মানুষেরই জোটে। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে এমন অভিনব দৃশ্য চোখে পড়লো উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ সুরষা গ্রামে।যেখানে দেখা গেল ধোকড়া বানাতে ভীষণ ব্যস্ত দিল্লি সরকার।আর সেই ধোকড়া কোথায় কোথায় বিক্রি হবে সে ব্যাপারে পথ বলে দিচ্ছে মমতার রাজ্য সরকার ফলে পোয়া বারো দিল্লি সরকারের।

দিল্লি সরকার তৈরি করছেন ধোকরা।নিজস্ব চিত্র

স্বামী মনতোষ সরকার,মেয়ে রিতা সরকার,বৌমা অনামিকা সরকার ও ছেলে রাজীব সরকারকে সাথে নিয়ে একের পর এক রংবেরং এর ধোকড়া বানিয়ে চলছে দিল্লি সরকার।শুধু তাই নয় তার তৈরি ধোকড়া এখন শুধু এই জেলাতেই নয় পাড়ি দিচ্ছে ভারতে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়।আর সেই দিল্লি সরকারের হাতে তৈরি ধোকড়া ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সাথে সুনাম কুড়িয়ে নিয়েছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়।উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সুরষা। যেখানে বসবাস করে এই দিল্লি সরকার।আর যে সরকার দায়িত্ব এখন নিজের সংসার সামলে দিয়ে স্বামীর সাথে বসে রংবেরঙের ধোকড়া তৈরি করা। নিজে দিল্লি সরকার হয়ে কখনো অহংকার বোধ করেন না তিনি। তাই সবার সাথে বসে হাসিমুখেই তিনি বানিয়ে চলছে কলার সুতা দিয়ে সেই ধোকড়া।শুধু ধোকড়া নয় সঙ্গে রয়েছে জুটের বিভিন্ন সৌখিন জিনিস ও,তৈরি করে চলছেন একের পর এক।দিল্লি সরকার জানান ভোটের সময় যখন কোন একটি রাজনৈতিক দল তার বাড়িতে এসেছিল তখন তিনি তার তৈরি ধোকড়া পেতে দিয়ে বলেছিল সেখানে বসতে।কিন্তু তারা তখন সেই ধোকড়ার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে না বসে তারা তখন সেই ধোকরা বাজারে কেমন করে বিক্রি করা হবে সেই ব্যাপারে তাঁকে সহযোগিতা করতে লাগল।এগিয়ে এল জেলা শিল্পকেন্দ্র। তাদের মাধ্যমে দিল্লি সরকার তখন থেকে সরকারি সব মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেতে লাগল। সেই থেকে শুরু পথ চলা।এই ভাবে চলতে চলতে দিল্লির সরকার একবার পাড়ি দিল বাংলাদেশেও।এরপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি।মমতা সরকারের নজরে চলে আসায় দিল্লি সরকার আজ ভীষণ খুশি। জানা যায় দিল্লি সরকার এই ধোকড়া তৈরি করছে আবার কলাগাছের ছাল কেটে সেখান থেকে সুতো বের করে।তাই অভিনব এই ধোকড়া আজ আর পাঁচটা ধোকড়ার চেয়ে একদমই আলাদা হওয়ায় সবাইকে এখন থেকে ছুটতেই হবে একবারের জন্য হলেও সেই কালিয়াগঞ্জ সুরষা গ্রামে।

আরও পড়ুনঃ ভবিষ্যতের শিক্ষক হিসাবে ক্লাস নিলো শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক দিবসে

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here