নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদ জেলার একটা বিশাল সংখ্যক অধিবাসীদের আত্মীয়রা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় দীর্ঘ্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত থাকলেও নেই কোনো ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট। ফলে মুর্শিদাবাদের অধিবাসীরা যদি বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যায় তাহলে হয় মালদা, নয় তো উত্তর চব্বিশ পরগনার চেকপোস্ট দিয়ে যেতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়সাপেক্ষ।

সীমান্ত এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, ভারত ও বাংলাদেশের যাতায়াতের একটি আন্তর্জাতিক চেক পোস্ট তৈরি হোক। বিষয়টি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন সীমান্তের বাসিন্দারা। কিন্তু সেই আবেদনে কর্ণপাতই করেননি কেউ। আশ্বাস দিলেও শুরু হয়নি চেকপোস্ট তৈরির কাজ।

এরপর হঠাৎই জুন জুলাই মাসে জলঙ্গীর বাসিন্দাদের সেই আবেদন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন বহরমপুর সংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক বন্দরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছিলেন চিঠিতে। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সেই দাবী মঞ্জুর করে পর্যালোচনা করার আশ্বাস দিয়েছে ভারত সরকার।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষারত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত জলঙ্গীর ফরিদপুর হাইস্কুলের প্রাক্তন সহকারী প্রধান শিক্ষক
সেখানে কবে কর্মসংস্থান তৈরি হবে? এখন সেই দিনের অপেক্ষাতেই রয়েছেন মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকার সর্বশান্ত হয়ে যাওয়া কয়েক হাজার মানুষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584