মশামাছি বাহিত রোগ প্রতিরোধে ডেঙ্গু দমন শাখা

0
220

সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ

একটা সময় দক্ষিন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে মশামাছির উপদ্রোপে অতিষ্ট হতেন গ্রামবাসিরা কখনো মারন রোগ কখনো আবার অজানা রোগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতেন অনেকে।

নিজস্ব চিত্র

গ্রামের প্যাচপ্যাচে রাস্তাঘাটে বিতশ্রুদ্ধ হয়েছিল প্রবীন নবীনরা গ্রামকে মশামাছি মুক্ত করতে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসি।ডেঙ্গুদমন নাম দিয়ে ব্লিচিং পাউডার,ফিনাইল,ঝাঁটা হাতে প্রতিনিধি দল পরিষ্কার পরিচ্ছন শুরু করেন দক্ষিন সুন্দরবনের বাজারবেড়িয়া গ্রামের আনাচে কানাচে,আজ মডেল গ্রাম রুপ দিতে মরিয়া এই গ্রামের ডেঙ্গু দমন শাখাটি তাই পার্শ্ববর্তী গ্রামও চাইছে বাজারবেড়িয়া গ্রামের মতো হোক তাদের গ্রামগুলি।

গৌরাঙ্গ পুরকাইত,প্রধান সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত।নিজস্ব চিত্র

কাকদ্বীপ ব্লকের সূর্যনগর গ্রামপঞ্চায়েতের বাজার বেড়িয়া গ্রামে বাস প্রায় দুহাজার মানুষের,খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকা বলতে চাষ আবাদ সঙ্গে মৎস শিকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয় বাজার বেড়িয়া গ্রামবাসির স্বাধীনতার পরেও অনুন্নত এই গ্রামে ছিল অভাব আর অনটন।

রাজ কুমার প্রধান,স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্য।নিজস্ব চিত্র

বেশ কিছু জায়গাতে হাড় বেড় করা ইটের রাস্তা ছাড়া মেটে প্যাচপ্যাচে রাস্তায় যাতায়াত করতেন বাজার বেড়িয়া গ্রামবাসিরা। অপরিচ্ছন্নতা গ্রামে সময়ের সাথে সাথে বদলেছে গ্রামের হালহাকিত ঝাঁ চকচকে রাস্তা ঘাট থেকে পানিয় জল সবটাই আছে এই গ্রামে।

জলধর ঘোষ,স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী।নিজস্ব চিত্র

গ্রামের ২৫ জন প্রতিনিধি দলের তত্ত্বাবধানে মশামাছির উপদ্রব কমিয়েছে ,প্রতিসপ্তাহে পাঁচ জন ভাগ করে পাড়াই পাড়াই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে উদ্যত হন।এরা দক্ষিন পাড়া থেকে ম্যাট পাড়া,ময়রা পাড়াথেকে সিং পাড়া,আটা পাড়া, পানুয়া পাড়ার মতোন সব জায়গাতে পরিস্কার পরিচ্ছনতার দায়িত্ব নিয়েছ।

নিজস্ব চিত্র

বাজার বেড়িয়া স্বামি বিবেকানন্দ স্মৃতি সংঘের ডেঙ্গু দমন প্রতিনিধিরা সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ টি গ্রামের মধ্যে অন্য মাত্রা পেয়েছে বাজার বেড়িয়া গ্রাম অবসর সময়ে নিজের গ্রাম বাজার বেড়িয়ার মতো বেড়িয়ে পরেন সিতারামপুর,উত্তর চন্দ্রনগর, ঠাকুরচকের মতো বিভিন্ন গ্রামে ব্লিচিং ফিনাইল হাতে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাকদ্বীপ ব্লকের স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতার পাশাপাশি সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিকল্পনায় বাজার বেড়িয়া ২৫ জন ডেঙ্গু দমন প্রতিনিধি দল বিনি পয়সায় সমাজ সচেতনার পথ বেছে নেন কখনো আবার নিজেদের পরিশ্রমের পয়সা দিয়ে দুস্থদের মশারি বিতরন করেন যাতে মশামাছির উপদ্রোপে বাঁচাতে পারেন গ্রামের মানুষকে।ডেঙ্গু দমন শাখার এমন কাজে এখন অনেক স্বস্তিতে আছেন মানুষ,মডেল গ্রামের পাশাপাশি সুস্থ্য সমাজ গড়তে এমনি পরিকল্পনা দাবি উদ্যোক্তা কিশোরি মন্ডলের।

নিজস্ব চিত্র

গ্রামের ডেঙ্গুদমনকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে আরো ভালো কাজ করার প্রত্যাশা সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গৌরঙ্গ পুরকাইতের।সুধু স্বাস্থ্য দপ্তর কর্মীরা কিংবা স্থানিয় পঞ্চায়েত এগিয়ে আসলে হবেনা বাজার বেড়িয়া গ্রামের মতো পরিচ্ছন্ন গ্রাম পাশাপাশি মশামাছি বিহীন গ্রাম গড়তে এগিয়ে আসতে হবে অন্যান্য গ্রামবাসিদের শুধু তাই নয় গ্রামে গ্রামে হবে সচেতনতা শিবির করার আর্জি স্বাস্থ্য প্রতিনিধি আধিকারিক জলতা ঘোষের। বাজারবেড়িয়া গ্রামের মতো অন্যান্য গ্রাম হয়ে উঠুক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here