ডঃ কনিষ্ক চৌধুরি
( বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক)
আওরঙ্গজেব কর্তৃক হিন্দু মন্দির ভাঙ্গার অভিযোগটি খুবই প্রচলিত।
আওরঙ্গজেব কর্তৃক মন্দির ভাঙ্গার ঘটনাটি ডঃসীতারামাইয়া রচিত ‘ The Feathers And The Stones’ নামক গ্রন্থে আমরা পাই।ঘটনাটি হলো এই রকম – আওরঙ্গজেব একবার বারাণসীর ওপর দিয়ে বাংলাদেশ অভিমুখে আসছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বহু অনুচর যাঁদের মধ্যে বেশ কিছু হিন্দু রাজাও ছিলেন সস্ত্রীক। বারাণসীর কাছে এসে এই হিন্দু রাজারা সম্রাটকে অনুরোধ করেন কিছুক্ষনের জন্য বারাণসীতে যাত্রা ভঙ্গ করতে, যাতে তাদের রানীরা বিশ্বনাথ মন্দির দর্শনের পূণ্যলাভে সমর্থ হন।সম্রাট তৎক্ষণাৎ রাজী হয়ে যান। রানীরা বহুজন পরিবষ্টিত হয়ে পাল্কিতে করে বিশ্বনাথ দর্শনে যাত্রা করেন। দর্শন শেষে রানীরা যখন ফিরে এলেন তখন দেখা গেল কচ্ছর মহারানী ফেরেননি।বহু খোঁজ খবরের পরও তাঁর হদিশ পাওয়া গেল না, তখন ক্রমে ক্রমে বাদশাহর কানে পৌঁছল। আওরঙ্গজেব খবর পেয়ে অমাত্যদের নিয়ে গেলেন মন্দির প্রাঙ্গনে রানীর খোঁজে। অবশেষে রানীকে পাওয়া গেল মন্দিরের ভেতরেই। হিন্দু দেবতা গণেশের বিগ্রহযুক্ত,সরানো যায় এমন এক দেওয়াল সরিয়ে দেখা গেলো একটি সিঁড়ি যা বিশ্বনাথের আসনের তলাই মাটির নীচে এক বিশাল বেসমেন্টে গিয়ে পোঁছেছে এবং সেখানেই রানীকে পাওয়া গেল অত্যন্ত অসম্মান জনক ও অত্যাচারিত অবস্থায়। এই ঘটনায় হিন্দুরা যারপরনাই ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে এর প্রতিকার দাবী করলেন সম্রাটের কাছে। আর তখনই আওরঙ্গজেব মন্দিরের ভেতরের অংশ ধ্বংস সাধনের উদ্যোগী হলেন ও মোহান্তদের আটক এবং শাস্তি বিধান করলেন।
(নিবন্ধে উল্লিখিত বিষয়ের দায়িত্ব নিবন্ধকারের। নিউজফ্রন্ট প্রকাশক মাত্র)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584