নবনীতা দত্তগুপ্ত, কলকাতাঃ
আগামী ২৭ মার্চ অবধি লক ডাউন। বন্ধ থাকবে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু। টান পড়ছে খাবার দাবারেও। দোকানে লাইন দিয়ে জিনিস কিনতে হচ্ছে।
নিজেদের স্বার্থেই বাইরে বেরনো বারণ হয়ে গিয়েছে আমাদের। বহু বাধা নিষেধ আরোপিত হয়েছে আমাদের উপর। সরকারি বিধি মেনে চলতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি না মানলেই বিপদ অবশ্যম্ভাবী। করোনার জেরে আজ বিপর্যস্ত জনজীবন। সাবধানে না থাকলেই বিপদ। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন অভিনেতা জয়ী দেব রায়।
তিনি জানান, “শুধু একা সুস্থ থাকলে চলবে না। পাশের মানুষটিকেও সুস্থ রাখতে হবে। একা সাবধানে থাকলে চলবে না,পাশের মানুষটিকেও সাবধানে থাকার জন্য সাহায্য করতে হবে। তাই আমি বেশ অনেকগুলো মাস্ক আর স্যানিটাইজার কিনেছি অন্যদের দেওয়ার জন্য। যাদের সঙ্গে কাজ করছি তাদের মধ্যে অনেককে দিয়েছি।
আজকাল শুনছি দোকানে মাস্ক আর স্যানিটাইজারের অভাব দেখা দিয়েছে। শোনার পর মনে হয়েছিল- ইস, আমি এতগুলো কিনে নিলাম! পরে ভাবলাম এতগুলো তো আমি একা ব্যবহারের জন্য কিনিনি। আমি তো অন্যদেরও দিয়েছি। তাতেই আমার প্রশান্তি। সকলকে বলব, খুব সাবধানে থাকতে। পাশের লোকটিকেও সাবধানে থাকার জন্য সাহায্য করতে।”
আরও পড়ুনঃ মাস্ক পরে সচেতনতার বার্তা ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’র
পাশাপাশি তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এলাকার পশুগুলির এখন খাবারের অভাবে পড়বে। তারা খাবারের দোকানের অতিরিক্ত খাবার খেয়ে দিন কাটায়। সেই রাস্তাও আজ বন্ধ। তাই নিজেদের বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ওদের জন্য সামান্য কিছু খাবার ফেলে রাখলে ওরা একটু খেয়ে বাঁচে।
রবিবার ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী এবং পুলিশদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী যে করতালি দিয়ে সম্মান জ্ঞাপনের কথা বলেন সেই প্রসঙ্গে জয়ী জানিয়েছিলেন, “একটা হাততালি ওঁদের আর্থিক সহায়তা দেবে না।
দেবে ওঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, প্রশংসা, কৃতজ্ঞতা, বিশ্বাস। তাই হাততালি দেওয়াটাকে বোকামি না ভেবে যাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন দেশকে-দশকে বাঁচাতে মানুষগুলির জন্য আজ এটুকু করুন।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584