নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
একদা মাওবাদীদের ডেরা বেলপাহাড়ি ডুংরি ফলস এখন পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। ঝাড়খন্ড লাগোয়া। এখন সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে সেখানে। পাহাড় কেটে তৈরি হয়েছে রাস্তা। গ্রামে বসেছে টিউবওয়েল, গিয়েছে বিদ্যুৎ। ২০১১ সালের আগে ওই গ্রামে যেতে পারত না পুলিশ প্রশাসন। বাঁধা ছিল ওই পাহাড়। তা টপকে ঢুকতে হত গ্রামে। এমন কি, ঝাড়গ্রাম মানুষজনের কাছে অজানা ছিল ঢাঙিকুসুম গ্রাম। এতটাই দুর্গম এলাকা যে ভোটের সময় হেলিকপ্টার নিয়ে গিয়ে পৌঁছাতে হত ভোট কর্মীদের।
পাহাড়ের কোলে যেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে যেন বসে রয়েছে ঢাঙিকুসুম। উইকেন্ড ট্যুরে সহজেই কলকাতা থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে আড়াই ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় ঝাড়গ্রাম। সেখান থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করে এক ঘন্টায় বেলপাহাড়ি। আর মাত্র ১৫ কিমি দূরে চারদিকে সবুজে ঘেরা ঢাঙিকুসুম। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে নির্জন নিস্তব্ধ জঙ্গলের মধ্যে খানিকটা গেলে চোখে পড়বে ডুংরি ফলসের নৃত্যের সুমধুর ধ্বনি। ১৩০টি আদিবাসী অধ্যুষিত পরিবারের ছোট্ট ঢাঙিকুসুম গ্রাম।
রোজগারের আয় বলতে পাথর। সকলেই পাথর শিল্পী। তৈরি করেন থালা-বাটি-গ্লাস সহ নানা মূর্তি। পর্যটকদের উপরি পাওনা সহজলভ্য স্লেট পাথরের জিনিস। সরকারি সাহায্যে তারা এখন গ্রাম ছাড়িয়ে অন্যত্র স্টল দেন বিক্রির জন্য।
আরও পড়ুনঃ কৌশিকী অমাবস্যায় ভক্তদের ঢল তারা তীর্থে
গ্রামের বাসিন্দা গগণ সিং, ফুলচাঁদ সিং-রা বলেন, ‘আগে তো এখানে কেউ আসত না। এক বছর হল বাইরের বাবুরা এখানে ঘুরতে আসে। বাইরের লোক এসে আমাদের দুটো বেশি বিক্রি বাটা হয়।’ শুধু কি ঝর্ণা, রোজ বিকেলে পড়ন্ত সূর্য পাহাড়ের কোলে এক মায়াবী রূপ নিয়ে হাজির হয় ঢাঙিকুসুমে। যা সহজেই পর্যটকদের নজর কেড়ে নেয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584