নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ
বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর রুটিন মাফিক মর্নিং ওয়াকে বেরোন। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় একটি জনসভার জন্য তিনি বুধবার রাত্রেই বাঁকুড়ার লাল বাজার এলাকার একটি বেসরকারি লজে এসে পৌঁছেছেন ।
এখান থেকে তিনি মাচানতলা পর্যন্ত মর্নিং ওয়াক করেন। এরপর মাচানতলা এলাকায় তিনি এই অঞ্চলের বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চায় পে চর্চা করেন। তাঁর এই চায় পে চর্চা করার সময় এই অঞ্চলের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ছাড়াও মর্নিং ওয়াকে বেরোনো কিছু স্থানীয় কৌতূহলী মানুষও এসে সেখানে জড়ো হন। মাচানতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে চা চক্রের পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সেখানে উপস্থিত বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সাথে দেখা করেন ও কথা বলেন।
তিনি বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। রাজ্য বিজেপির কাণ্ডারি দিলীপ ঘোষ বিজেপির মহিলা কর্মীদের কাছে পিঠে খাওয়ানোর আবদারও করেন। তিনি বলেন যে পিঠে উৎসব এই রাজ্যের এক ঐতিহ্যশালী উৎসব। তিনি উপস্থিত মহিলা বিজেপি কর্মীদের থেকে পিঠে তৈরি করার কৌশলও শিখে নেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোটের কোনো লাভ হবে না কারণ এই দুটি দলই মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।” তিনি বলেন যে, আগামী নির্বাচনে এই রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবে।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দু অধিকারীর নরকেও জায়গা হবে না! নেতাইয়ে বিস্ফোরক মদন
তিনি এও বলেন যে আগামী নির্বাচনে টিএমসিকে হারিয়ে এই রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই হল সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এরই সাথে সন্ত্রাস বন্ধ, কর্মসংস্থান,শিক্ষা – স্বাস্থ্যে উন্নয়ন এই বিষয়গুলির ওপরও প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যপালের সাথে দেখা করেছেন। এই বিষয়ে তাঁর কটাক্ষ যে, “মুখ্যমন্ত্রী এখন পাঁকে পড়ে সব কিছু করছেন।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রড! বড় ধাক্কার মুখোমুখি অনিল আম্বানি
যেমন তিনি কিষান বীমা যোজনা মেনে নিলেন।” টিএমসি দলটিকে বাঁধা কপির সাথে তুলনা করে তিনি বলেন যে, এক এক করে টিএমসির ছোট বড় সব নেতাই বিজেপিতে আসার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। দিলীপ ঘোষের দাবি এই রাজ্যে বামপন্থীরা যে হিংসাত্মক রাজনীতি শুরু করেছিলেন বিজেপি আগামী নির্বাচনে জিতে সেই ধারাকে শেষ করবে। উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যে, মমতা ব্যানার্জি এক সময় এই জঙ্গলমহলে ছত্রধর মাহাতোর মোটর সাইকেলে চেপে ঘুরে বেড়াতেন কিন্তু ভোটে জেতার পর সেই ছত্রধর মাহাতোর ঠিকানা হল জেলখানায়।
পাহাড়ে বিমল গুরুংও তাঁকে মা বলে সম্বোধন করেন। তাঁকে রাজ্য ছাড়া হতে হয়। তিনি বলেন যে, যারা মমতা ব্যানার্জির কাছে এসেছেন তাঁদেরই সর্বনাশ হয়েছে। মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন যে, মমতা ব্যানার্জি আদিবাসীদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে এতটাই বোঝেন যে সিধু কানুর পরিবারের সংবর্ধনা সভাতে তিনি বলে ওঠেন যে ডহর বাবুর পরিবারের লোকেরা এসেছে। যদিও আদিবাসী ভাষায় ডহর মানে রাস্তা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584