উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি আসলে তৃণমূল সরকারের একটা ফিকির। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ফোন নম্বর আদায় করবে ওরা। এটা পিকে’র প্রচার চালানোর সুবিধা করতেই এরকম একটা টেকনিক বার করেছে ওরা। বুধবার কলকাতার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের চা-চক্রে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
এদিন সকালে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এতদিন পর মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কথা মনে পড়েছে সরকারের। ৯ বছরে যে সরকার পরিষেবা দিতে পারল না তারা ২ মাসে কী করে পরিষেবা দেবে? আসলে এসব মানুষের ফোন নম্বর জোগাড়ের ফন্দি। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা মানুষের ফোন নম্বর জোগাড় করে ভোটপ্রচারে কাজে লাগাবে।”
আরও পড়ুনঃ অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল নার্সিং পড়ুয়াকে, হুমকি
বিজেপি রাজ্য সভাপতি হিসাবে এদিন পাঁচ বছর পূর্ণ হল দিলীপ ঘোষের। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে তাই চায়ে পে চর্চায় কেক কাটেন তিনি। তবে বুধবার সকালে ওই অনুষ্ঠানেও রাজ্য সরকারকে বিঁধতে ছাড়লেন না সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ‘দুয়ারে সরকার’, ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর-সহ একাধিক বিষয়েই তোপ দাগেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ রঘুনাথগঞ্জে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে আহত চার
কাটমানি ইস্যুতে এদিন রাজ্য সরকারকে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “দিদি বলেছিলেন কলকাতাকে লন্ডন বানাবেন। কিন্তু এখনও একটু বৃষ্টি হলেই কলেজ স্ট্রিটে কোমর সমান জল জমে। রাস্তাঘাট সব দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। পয়সা নিয়ে বড় দোকানের সামনে হকার বসিয়ে দিচ্ছে। উন্নয়ন বলতে ৬ মাসে একবার করে ফুটপাথের টালি বদলায়। আর তা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি খান তৃণমূল নেতারা।”
এছাড়া ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যবাসীকে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের ক্যাম্পে একেবারে না যাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এছাড়াও এদিনের চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে পুরভোট নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভোট যখনই হোক। দল তৈরি।” আগামী বছরেই নির্বাচন। তবে দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন বাড়ছে শাসক-বিরোধী আক্রমণের ঝাঁজ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584