নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলিঃ
প্রচলিত আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেছিলেন চন্দননগর চাউলপট্টি বাজারের গঙ্গার পাড়ে। যেখানে হাট বসত সেখানেই নবাবের দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্রের বন্ধু ইন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর সাহায্যে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়। বর্তমানে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরে দুশোটির বেশি পুজো হয়। এই কটা দিন আলোয় ভাসে চন্দননগর।
দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসে সেই সব পুজো দেখতে। চন্দননগরের চাউলপট্টিতে পুজো হয় আদি মায়ের। সেই পুজো দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তেরা ভিড় জমায় এই পুজো মণ্ডপে। আলোর রোশনাই, বড় প্যান্ডেলের থেকেও ভক্তি ও রীতি রেওয়াজের দিকেই বেশি নজর থাকে উদ্যোক্তাদের। তবে এবছরটা অন্যান্য বছরের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই এবার খানিকটা অনাড়ম্বরেই হবে চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো। মাস্ক পরে মণ্ডপে প্রবেশ করা আবশ্যিক। এছাড়াও মণ্ডপে মণ্ডপে রয়েছে স্যানিটাইজার।
আরও পড়ুনঃ রামমন্দির নির্মাণে অভয়ারণ্য আইন ভেঙে দুর্লভ পাথর সরবরাহের উদ্যোগ রাজস্থানে
৩০০ বছর আগে চন্দননগরে যখন জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়, চাউলপট্টিতে তখন চালের বাজার ছিল। সেই থেকেই ওই জায়গার নাম হয় চাউলপট্টি।
আরও পড়ুনঃ জল্পনায় জল ঢেলে রামনগরের সভা সারলেন শুভেন্দু
মূলত পুরুষরাই তখন পুজো শুরু করে, সেই রেওয়াজ মেনে আজও পুজোর ফল কাটা থেকে, দশমীর দিন মা কে বরণ সমস্ত কাজ করেন পুরুষরাই। সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিন মাকে বিভিন্ন ভোগ দেওয়া হয়। অষ্টমীতে খিচুরি ও নবমীতে পোলাও ভোগ বিতরণ করা হয়। নবমীর ভোগ খেতে দশ হাজারের বেশি ভক্ত ভিড় জমান আদি মায়ের মণ্ডপে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী তিন দিনই বলির রীতি আজও চলে আসছে। বিশাল মন্দির ঘিরে বড় মেলাও বসে।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য তিন শর্ত দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চন্দননগর চাউলপট্টির ‘আদি মা’ জগদ্ধাত্রী পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরে তিনি উর্দ্দিবাজার চুনাগলি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির জগদ্ধাত্রী পুজোরও উদ্বোধন করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এদিন পুজো উদ্বোধনে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন চায় না। অন্য রাজ্যে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে সেই ভাবেই নির্বাচন হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরের লোকেদের ভয় পাবেন না, একথা যদি বলে থাকেন তাহলে বোধহয় তিনি প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে একথা বলতে চেয়েছেন। কারণ তার দলের বিধায়ক, সাংসদরা ইতিমধ্যে প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে বলতে শুরু করেছেন। সে নাকি দলটা শেষ করে দিয়েছে। তবে বিজেপি কাউকে ভয় পায় না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584