পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের লোবা পঞ্চায়েতে জয়দেব খাগড়া কয়লা শিল্প নিয়ে একটি আলোচনা সভা হল বীরভূমের জেলা শাসকের দপ্তরে।এ দিন আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা , জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা এবং ডিবিসি কর্তৃপক্ষ। আলোচনা সভায় মূলত জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দাবিদাবা কথা তুলে ধরেন কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা।তাদের দাবি প্রকল্পে ব্যবহৃত জমি ছাড়াও ওই নির্দিষ্ট এলাকায় পড়ে থাকা উদ্বৃত্ত জমির কি ব্যবস্থা হবে? এছাড়াও গ্রামবাসীদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা কি হবে? অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত দাবিদাবা ভেবে দেখার কথা জানানো হয়।এছাড়াও গ্রামবাসীদের পুনর্বাসনে জন্য যে জায়গার ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে তাতে ৯০% মানুষের পছন্দ হলেও ১০ শতাংশ মানুষ সহমত পোষণ করেনি। সেই সমস্যা কেউ কিভাবে মেটানো যায় তা নিয়ে আজকে আলোচনা হয়।এরপর গ্রামে গিয়ে কৃষকদের সাথে আলোচনা করা হবে।
প্রসঙ্গ তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতি অনুযায়ী তৈরি হয়েছিল জমি অধিগ্রহণের কাজ। সেই জমি অধিগ্রহণ নীতি কে মেনে নেয়নি জমি রক্ষা কমিটি ।২০০৭ সাল থেকে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। এই আন্দোলনটি বৃহত্তর রূপ ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর। লোবা অঞ্চলের মাটির নিচে রয়েছে বৃহত্তর কয়লা। আর সেই কয়লা উত্তোলনের জন্যই অধিগ্রহণ করা হচ্ছিল জমি ,এবং এই কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব পায় এমটা নামে এক সংস্থা। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছিল এই কোম্পানি।ঠিক তখনই পুলিশ-জনতার বিরোধ বেঁধেছিলো,পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিল দু’জন সাধারন কৃষক।উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি।পরে অবশ্য দায়িত্ব থেকে সরানো হয় এই কোম্পানিকে। শিথিল হয়ে যায় কয়লা উত্তোলনের কাজ।কাজের দায়িত্ব পায় নতুন কোম্পানি ডিভিসি।নতুন করে তারা সরকারকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে বসে কৃষকদের সাথে।
এই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল-
১) সবাইকে জীবিকা ও পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা লিখিতভাবে দিতে হবে।
২) নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অধিগ্রহণ করে তার পর খননকার্য শুরু করতে হবে ।
৩)সবাইকে সরকারি চাকুরি দিতে হবে।
৪) জমির সঠিক মূল্য দিতে হবে এবং জমি খসরা করতে হবে।
এই সমস্ত দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন বহুবার বৈঠকে বসেছে এই সরকার এবং জমি রক্ষা কমিটি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে কথা এগিয়েছে।জমি খসড়া তৈরি হওয়ার পরই জমির দাম নির্ধারণ করবে ডিভিসি। লোবা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই পুনর্বাসন দেওয়া হবে বীরভদ্রপুরে।মর্ডান গ্রামের মাধ্যমে পুনর্বাসন দেয়া হবে কৃষকদের।
আরও পড়ুনঃ মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েতে ‘আপনার পঞ্চায়েতে প্রশাসন’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584