করোনা চিকিৎসার জন্য নয়া উদ্যোগ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের

0
65

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

পুজোর পরে দ্বিতীয় ঢেউ নেমে আসতে পারে। এই আশঙ্কা নিয়ে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে এখনও পর্যন্ত করোনাতে মৃত্যু হয়েছে ২২৭ জনের। জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬০৩২ জন।

officer | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আগামীদিনের করোনা চিকিৎসার জন্য আরও উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে পুরোনো আইসোলেশন ওয়ার্ডে চালু করা হলো সাড়ি এইচডি ইউনিট। কো মরবিটি এবং ক্রিটিক্যাল রোগীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে এই ওয়ার্ডে। এই নতুন ইউনিটের উদ্বোধন করেন জেলা শাসক রশ্মি কোমল।

আরও পড়ুনঃ চন্দ্রকোনায় রাজা হীন রাজার মায়ের কালী পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে

officers | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

একতলা দোতলা মিলিয়ে মোট ২৬ টি শয্যা রাখা হয়েছে। প্রতি শয্যার সাথে থাকছে মনিটর এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা। এই ওয়ার্ডের বর্জ্য পদার্থ ফেলার জন্য তৈরি করা হয়েছে ভ্যাট। এই ইউনিটি তৈরি করতে প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানালেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল। তিনি বলেন, “শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৪০টি সোলজার এইচডি ইউনিট রয়েছে।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মেদিনীপুর জেলাতে বর্তমানে আয়ুস, শালবনি সুপার স্পেশালিটি, ঘাটাল, ডেবরা এবং খড়্গপুর হাসপাতালে ১১৩ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ বুধবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা, চলছে প্রস্তুতি খড়্গপুর – মেদিনীপুরে

তাছাড়াও সেভ হাব রয়েছেন ৩৫ জন, হোম আইসোলেশনে রয়েছে ৭৮৬ জন। হোম আইসোলেশনে কেন বেশি থাকছেন তার ব্যাখ্যা হিসেবে জেলাশাসকের যুক্তি এখন অনেকের মধ্যে প্রবণতা বেড়েছে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর। দেখে নেওয়া হচ্ছে যিনি আক্রান্ত তিনি যে রুমে থাকবেন সেখানে পৃথক বাথরুম ও রুম রয়েছে কিনা। তার মধ্যে যদি কারও কোন সমস্যা দেখা দেয় তাদের হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। জেলাতে মৃত্যুর হার কমেছে।

আরও মৃত্যুর হার কমানোর জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এইচডি ইউনিট চালু করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আশা কর্মী, সেলফ হেলফ গ্রুপ এবং স্থানীয় ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করানো হয়েছে। অনেকেই স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করিয়ে থাকেন।

তাই সেই সব চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে যাতে করোনা পরীক্ষা এবং হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থায় এগিয়ে আসেন মানুষ সে জন্য এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। আইসিএমআর -এর গাইডলাইন মেনে করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু জানিয়েছেন,”হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা রয়েছেন তারা এই এইচডিইউ বিভাগে পরিষেবা দেবেন।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here