ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থাকা সত্ত্বেও করোনা অতিমারি মোকাবেলায় অনুদান গ্ৰহনের জন্য গত ২৮শে মার্চ ‘পিএম কেয়ারস’ নামক একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুধু তাই নয় কেন্দ্রের তরফ থেকে দেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের সূত্রে জানানো হয়েছে যে কোন কর্পোরেট সংস্থা যদি পিএম কেয়ারস তহবিলে অনুদান বাবদ অর্থ জমা করে তাহলে ২০১৩ এর কোম্পানি আইন অনুযায়ী ‘কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি’ (CSR)বা ‘শিল্প সংস্থার সামাজিক দায়বদ্ধতা’র আওতায় আসবে।
The Ministry of Corporate Affairs has allowed contributions from companies to state disaster management authorities for fighting COVID-19 to be treated as CSR expenditure. pic.twitter.com/LRPr9dMGmH
— NSitharamanOffice (@nsitharamanoffc) April 11, 2020
অর্থাৎ কোন কর্পোরেট সংস্থা যদি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল বা রাজ্য সরকারের অন্য কোনো তহবিলে সেই অনুদান জমা করে তাহলে সেটা ‘শিল্প সংস্থার সামাজিক দায়বদ্ধতা’র আওতায় আসবে না।
বিরোধীদের তরফ থেকে প্রশ্ন ছিল এই পিএমকেয়ারস তহবিলে অর্থ দান করলে তাদেরকে আয়করে কোন ছাড় দেওয়া হবে কি না। সেই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান যে কোন সংস্থা যদি পিএম কেয়ার্সে অনুদান করে তাহলে অবশ্যই তা ‘শিল্প সংস্থার সামাজিক দায়বদ্ধতা’ হিসেবে গণ্য করা হবে।
উল্লেখ্য, নতুন কোম্পানি আইন অনুযায়ী যে সমস্ত সংস্থার বিক্রি বছরে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি সেই সমস্ত সংস্থাকে বাধ্যতামূলকভাবে শতকরা ২ শতাংশ সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) খাতে ব্যয় করতে হবে।
এখানেই বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলোর আপত্তি। কারণ এমতাবস্থায় রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাগুলি দান করার কোনো উৎসাহ পাবে না।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সোনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যেই এ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থাকা সত্ত্বেও কেন আলাদা করে ‘পিএম কেয়ার’ গঠন করা হলো।এই পিএম কেয়ার্স তহবিল গঠনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের হয়েছে। আগামীকাল সেই মামলার শুনানি রয়েছে।
সেই মামলায় অভিযোগ তোলা হয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনো রকম গেজেট কিংবা নির্দেশিকা প্রকাশ না করেই পিএম কেয়ার্স তাহবিল গঠন করা হয়েছে।এমনকি এই পিএম কেয়ার্স ত্রুটিযুক্ত এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য তহবিলে অনুদানের জন্য অর্ডিন্যান্স ছাড়াই প্রেস বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। সাথে আরও উল্লেখ যে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৭ এবং ২৬৬ (২) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট তহবিলটি গঠন করা উচিত ছিল ।
গোটা পৃথিবীর সাথে এই মুহূর্তে আমাদের দেশ করোনা আক্রমণে বিপর্যস্ত। এমনিতেই ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা ঝিমিয়ে পড়েছিল। তার উপর করোনা আক্রমণের ফলে সর্বস্তরে আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে সরকার।
এই পরিস্থিতিতে সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গঠন করা হয় পিএম কেয়ার নামে একটি পৃথক ফান্ড। ইতিমধ্যেই বিপুল টাকার দান পড়েছে এই ফান্ডে। এই ‘পিএম কেয়ার্স’ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584