জি এস টির ফলে ধুকছে কাঁসা পিতল শিল্প

0
159

শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ

নবদ্বীপ শহর ও কাটোয়ার মাটিয়ারী তে কাঁসা-পিতল শিল্পের রমরমা কারবার।সাম্প্রতিক কালে জি এস টির সমস্যার কারণে সংকটে কাঁসা-পিতলের সাথে যুক্ত শ্রমিক ও মালিকরা এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।ক্রেতা কমেছে অথচ উৎপাদন থেমে নেই তাই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কাঁসা-পিতল শিল্প।এই শিল্পের সাথে নবদ্বীপ শহরের ক্ষুদ্র শিল্পের সাথে যুক্ত কয়েক শ পরিবার।
কাটোয়া মহকুমার গঙ্গা তীরবর্তী স্থানে মাটিয়ারী কেউ গোটা গ্রামের পরিবার এই কাঁসা-পিতলের সাথে যুক্ত।শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ১৮% জিএসটি দিতে হচ্ছে তাদের কিন্তু নতুন কলসির বেলায় তা দিতে হচ্ছে ১২ শতাংশ।
কাঁসা পিতলের সামগ্রিক উপরে বসানো এহেন করের চাপে নাভিশ্বাস উঠেছে শিল্পের।সংকটে পড়েছেন কাঁসা-পিতল শিল্পে যুক্ত নবদ্বীপের হাজার হাজার কারিগর এবং ব্যবসায়ী।ছোট ব্যবসায়ীরাও এই কাজ ছেড়ে বেছে নিচ্ছেন বিকল্প কোনো কাজ।সব মিলিয়ে কয়েকশো বছরের প্রাচীন কাঁসা-পিতল শিল্পের কারবারটা আস্তে আস্তে ধ্বংস  হতে বসেছে বলে অভিযোগ শিল্পীদের।স্থানীয় ইতিহাস ঘাটলে দেখা গিয়েছে যে কাঁসা-পিতল শিল্প নবদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন একটি শিল্প এই শিল্পের অন্যতম ছিলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র।তার পৃষ্ঠপোষকতায় নবদ্বীপে এই শিল্পের বিকাশ ঘটতে থাকে ক্রমশ পরামাতালা রামসীতা পাড়া দণ্ডপানি তলার রাধা বাজারে একটি বিরাট অংশ জুড়ে কাসারি সমাজ গড়ে ওঠে যারা এক সময় নবদ্বীপের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রিত করতেন।সেই সময় কালে নবদ্বীপের অর্থনীতিতে কাঁসা-পিতল শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির ভূমিকা পালন করে থাকে কিন্তু বর্তমানে সরকারের জি এস টির কারণে এতটাই কর বসেছে যে তাদের উৎপাদিত এই সমস্ত কাঁসা-পিতল শিল্প সামগ্রী বিক্রি করতে ক্রেতাদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে।কারিগর সংগঠনের সম্পাদক বাবু কংস বণিক জানিয়েছেন যে গ্রামের মানুষ এখন পিতল কাসা কেনেন সম্পদ ভেবে ধাতু হিসাবে যথেষ্ট মূল্যবান কাঁসা-পিতল কিন্তু জিএসটি চালু হবার পর থেকে এই শিল্প ক্রমশ যেন দুর্বল হয়ে পড়ছে। কাঁচামালের উপরে ১৮ শতাংশ এবং তৈরি জিনিসের উপর ১২% জিএসটি বসানোর ফলে দাম বেড়ে গেলেও কেনার লোকের অভাব।
নবদ্বীপ পিতল কাঁসার বাসন উৎপাদক ও ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে গত পঞ্চাশ বছর ধরে সরকার এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কর ছাড় দিয়ে এসেছে কিন্তু বর্তমানে জিএসটি চালুর ফলে এই শিল্প ক্রমশ ধ্বংসের পথে যেতে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন-
“২০০৫ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় বিষয়ে বুঝি আমরা ভ্যাট মুকুব পরিয়ে ছিলাম কিন্তু এবারে জিএসটি মুকুবের জন্য পথে নামলে ও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না কাঁসা-পিতল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষের ভবিষ্যৎ অন্য কোন বিকল্প পেশাকে বেছে নেওয়ায় আগামী দিন কর্তব্য বলে মনে করছেন এই শিল্পের সাথে যুক্ত শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীরা।”

আরও পড়ুনঃ শক্তিরূপের আরাধনার পর শুরু ভাগ্যদেবীর আরাধনা

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here