পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
মঙ্গলবার মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর দেখা যায় বীরভূম জেলায় প্রথম স্থান এবং রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে সাবর্ণী চট্টোপাধ্যায় জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে।মেধা তালিকায় প্রথম দশে স্থান পেলো বীরভূমের তিনজন। সাবর্ণী চট্টোপাধ্যায় (৬৮৫) ষষ্ঠ (রামপুরহাট হাইস্কুল), সৌকর্য বিশ্বাস (নবম) (বিকেটিপি) ৬৮২, অরিত্র মাহারা ৬৮১ (দশম) সিউড়ি নেতাজি স্কুল।মাধ্যমিকে এবছর ষষ্ঠ স্থান অধিকার করার কথা জানতে পেরেই সাবর্ণী জানায়, “খুবই উৎসাহিত এবং আনন্দিত। বিশ্বাস করতে পারছিনা এরকম রেজাল্ট হবে। ভেবেছিলাম ভালো ফল হবে, তবে এতটা ভাবেনি।”

ভবিষ্যতে জয়েন্ট পাস করে ডাক্তার হতে চায় সাবর্ণী।গদ বাঁধা নিয়মে কখনোই পড়াশোনা করেনি, মন যখন চেয়েছে তখনই বই নিয়ে বসে: পড়াশোনা সেরেছে। যখন খেলার ইচ্ছা হয়েছে তখন খেলেছি, বাবা-মা কখনোই অতিরিক্ত চাপ দেয় নি পড়াশোনার জন্য।সাবর্ণীর প্রথম জীবনের পড়াশোনা শুরু হয় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। পরবর্তীকালে সে সেখান থেকে ট্রান্সফার নিয়ে ভর্তি রামপুরহাট হাইস্কুলে। তারপরেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় এত বড় সাফল্য পেল সে। মা সঞ্চিতা চট্টোপাধ্যায় রামপুরহাট হাই স্কুলের শিক্ষিকা, তিনি জানান ছেলে কে কখনই পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য জোরজবস্তি করা হয়নি, মা হিসেবে সব সময় চেয়েছি সাবর্ণী ভাল মানুষ হক।
আরও পড়ুনঃ প্রশাসক হওয়ার স্বপ্ন সিউড়ির অরিত্রর
বাবা কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, তিনি জানান, কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় আমাকে ঘুরে বেড়াতে হয় তাই ছেলের জন্য খুব বেশি সময় ব্যয় করতে পারিনি তবু এত ভালো ফল করেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাতে আমি গর্বিত বাবা হিসেবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584