নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের নোনাশোল, কলসীভাঙ্গা, পিড়াকাটা, চাঁদড়া এলাকায় দুটি ভিন্ন দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
৭০ টি হাতির পাল লালগড় গেলেও ৩০ টির পালটি পিড়াকাটার জয়নারায়ণপুর থেকে ফিরে এসেছে চাঁদড়া রেঞ্জের গুড়গুড়িপাল বীটে। গতকাল সন্ধ্যা হতেই হাতির পাল ঢুকে পড়ে গুড়গুড়িপালে।
এলাকার মানুষজন মেদিনীপুর – ধেড়ুয়া রাস্তার পাশে ব্যারিকেড করে যাতে করে রাস্তা পেরিয়ে হাতি না লোকালয়ের কৃষিজমিতে প্রবেশ করে। হাতি বাধা পেয়ে জঙ্গলেই আটকে থাকে।
অন্যদিকে আবগারির নিয়মিত অভিযানের ফলে চোলাই মদের কারবারিরা বাড়িতে মদ তৈরির উপকরণ না রেখে গুড়গুড়িপাল গ্রামের জঙ্গলে রেখেছিল। সেখানে হাজির হয় হাতির পাল। প্রায় ২০০ লিটার মদ তৈরির উপকরণ (গ্রাম্য ভাষায় জাব বলে) ছিল। যার মূল্য ১৫ হাজার টাকা। তিন ঘন্টা ধরে পুরোটা খেয়ে ফেলে হাতির পাল। মত্ত হয়ে পড়ে দলের সর্দার দাঁতাল।
আরও পড়ুনঃ জমি ঘিরে পারিবারিক বিবাদে চলল গুলি, আহত একই পরিবারের ৭
কোনদিকে যাবে দিশেহারা হয়ে পড়ে পুরো পালটি। ওখান থেকে পালটি পৌঁছে যায় মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুচিবেড়িয়া এলাকায়। সেখানে এই মত্ত দাঁতালটি অসীম নায়েক ও তুলসী নায়েকের দুটি বাড়ি ভাঙে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যাপক ধান জমি। ভাদুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা গঙ্গাধর হেমরম বলেন, হাতির পালটি তার পাঁচ বিঘা ধান জমি নষ্ট করেছে। ক্ষতিপূরণও ঠিক মতো পান না বলে অভিযোগ। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন বনদপ্তর ও হুলা পার্টির বিরুদ্ধে। মুচিবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ নয়াগ্রাম গ্রামের হুলা পার্টির লোকজন হাতিগুলিকে তাদের গ্রামে ইচ্ছে করে ঢুকিয়ে দেয়।
সূত্রের খবর বাড়ি ভাঙার পরই গ্রামবাসীরা লাঠি নিয়ে তাড়া করে হুলা পার্টির লোকজনদের। যদিও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গতকাল কোনো হুলা পার্টি ঐ এলাকায় হাতি নিয়ে যায় নি। হাতির পালটি চোলাই খাওয়ায় দিশেহারা হয়ে ঐদিকে গিয়েছে। সকালে ঐ এলাকায় বনদপ্তরের লোকজন গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584