নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম :
ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় দূর্গা পুজোয় দেখা যাচ্ছে অভিনব থিমের ভাবনা। জাম্বনি ব্লকের বিভিন্ন গ্রামগুলির মধ্যে চিচিড়া গ্রামের পুজো এবার এক অন্যতম ভাবনা নিয়ে হাজির । প্রায় ২০০ বছর আগে এই গ্রামেরই জমিদার কালিপ্রসাদ প্রামানিক স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন।
তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল এই পুজো। প্রথমে শুধু ঘট বসিয়েই পুজো হত। বিগত ১৩৭তম বর্ষ থেকে মা এখানে মৃণ্ময়ী রুপ পেয়েছেন। এখানে ১টি সোনার দুর্গা মূর্তিও ছিল কিন্তু কয়েক বছর আগে সেটি চুরি হয়ে যায়। বিগত ৬৬ বছরের পুজোয় দর্শনার্থীদের ভাটা দেখা গিয়েছে এই মন্ডপে।
তাই এবছর থিমের ভাবনায় উপনীত হয়েছেন চিচিড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি। এবারের থিমের ভাবনায় রয়েছে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত বিখ্যাত ছবি ‘হীরক রাজার দেশে’। এবারের পুজোর বাজেট প্রায় ৬লক্ষ টাকা।
মন্ডপের মূল দরজার সামনে দর্শনার্থীদের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন গুপি গাইন ও বাঘা বাইন।
মন্ডপের মধ্যে ঢুকলে দেখা যাবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবির বিভিন্ন জিনিস সাজানো আছে। মন্ডপে ঢুকতে হলে পেরোতে হবে একটি গুহার মধ্য দিয়ে। তারপর থাকছে কয়লার খনি। সেই খনির মধ্যে রয়েছে রাজসভা।
রাজসভায় বসে রয়েছেন রাজা, মন্ত্রী, জ্যোতিষী অন্যান্য লোকজনরা। রাজসভা পেরোলেই দেখা যাবে স্থায়ী মন্ডপে একচালে সাবেকিয়ানা সাজে রয়েছেন মা দূর্গা।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ঘোষণা
পুরো মন্ডপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় রয়েছে ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবির শেষ অংশ। ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান’ এই মজার দৃশ্যটিও দেখানো হচ্ছে থিমের মধ্য দিয়ে। এই পুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজে ব্যবহার হচ্ছে বাঁশ, চট, বাটাম, গঙ্গামাটি, ও রং।
পুজো কমিটির সম্পাদক শ্রী কল্যান কুমার কুইলা বলেন, ‘আগের বছর গুলিতে আমাদের এই পুজোয় খুব কম লোকজন আসছিলেন তাই এইবছর এই প্রথমবার থিমের ভাবনায় উপনীত হয়েছি।
আমাদের এই এলাকায় দুই ধর্মের মানুষ বাস করেন কিন্তু এই পুজো কে ঘিরে কোনোদিন কোনো ঝগড়া বা গন্ডগোল হয়নি এই এলাকায়। চারপাশের গ্রাম থেকে লোক আসেন এই পুজো দেখতে। এবারের পুজোতে দর্শনার্থীদের ভীড় হবে আমরা আশাবাদী। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প গুলি এবং প্লাস্টিক বর্জনের বার্তাও দেওয়া হবে ব্যানারের মধ্য দিয়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584