নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
শিশু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাঁকুড়ার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া ও স্কুলের এক শিক্ষিকা সুষমা শর্মা সহ মোট ৮ জন।
ধৃত শিক্ষিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মোট পাঁচটি শিশু কন্যা। এই শিশুদের ভিন রাজ্যে পাচার করা হচ্ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাঁকুড়ার শিশু পাচার কাণ্ডে ধৃতদের মধ্যে অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়া সহ তিন জনকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য পাঁচ ধৃতকে ২ অগাষ্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার দুপুরে। স্কুল লাগোয়া বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জাতীয় সড়কের উপর একটি মারুতি ভ্যানে দুটি শিশুকে জোর করে তোলার চেষ্টা করতে দেখা যায় কমলকুমারকে। ওই গাড়ির ভিতর আরো দুটি শিশু সহ দুই মহিলা বসেছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় কালপাথর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুব্রত সাহানা চিৎকার করে স্থানীয় লোকজনকে ডাকেন। স্কুলের অধ্যক্ষ কমলকুমার তখনই সেখান থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা গাড়ির ভেতর থাকা দুই মহিলা ও মোট চার শিশুকে তাদের গতিবিধি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন কিন্তু তাদের অসংলগ্ন কথায় সন্দেহ আরো বাড়ে। এই খবর পেয়ে সেখানে আসে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নজরদারি পিকে ও অভিষেকের ফোনেও, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের স্টিল প্ল্যান্ট মেন গেট এলাকা থেকে সাত দিন আগে ন’মাসের একটি শিশুকে আনা হয় ও তাকে সুষমার কাছে বিক্রি করেন কমলকুমার। কমলকুমারের বাড়ি থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে শিশুদের, সব মিলিয়ে মোট পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭০(৫),৩৭২, ৩৭৩ ধারা, জুভেনাইল জাস্টিস এক্টের ৭৫, ৮১, ৮০ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ম্যানহোলে পড়ে গেল শিশু, চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়
পুলিশের অনুমান দুর্গাপুরের স্টিল প্ল্যান্ট মেন গেট সংলগ্ন কাদা রোডের নিষিদ্ধপল্লি থেকে শিশুদের মোটা টাকা দিয়ে কিনে এনে পাচার করার চেষ্টায় ছিল ধৃতরা। কমলকুমার নিজে রাজস্থানের বাসিন্দা, সেখানেও তাঁর শিশু পাচারের পরিকল্পনা ছিল বলেই ধারণা। স্থানীয় এক চায়ের দোকানদার ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে লিংকম্যান হিসেবে কাজ করতো বলে সন্দেহ, তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃত অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়া-র সাথে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের ছবি প্রকাশ করে শিশু পাচারকারী কমলকুমার বিজেপি ঘনিষ্ঠ এমনটাই দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584