সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে বাঁকুড়া থেকে দামোদর পেরিয়ে প্রায় প্রতি বছরই হাতি ঢুকে পড়ে। ফলতঃ গলসির মানুষদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। ফসল নষ্ট, ঘর-বাড়ি নষ্ট তো আছেই, কখনো কখনো জীবনহানির মত পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়।
হাতির আক্রমণে মৃত্যুর হার যে একেবারেই এখানে শূন্য তা নয়। জেলা বন দফতর তাই হাতির গতিবিধি নজরে রাখতে ও ক্ষতির বহর কমাতে গলসিতে দামোদর লাগোয়া এলাকায় তিনটি ‘ওয়াচ টাওয়ারে’র পরিকল্পনা করেছে।
সম্প্রতি গলসির সীমনড়িতে দু’টি দাঁতাল ঢুকে ক্ষেতে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। এর জন্য বহু জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। ২০১৫-য় গলসিতেই হাতি শুঁড়ে তুলে আছাড় মারায় মৃত্যু হয় এক প্রবীণের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বাঁকুড়ার সোনামুখী, পাত্রসায়র হয়ে দামোদর পেরিয়ে হাতির দল গলসির লোয়া-কৃষ্ণরামপুর, চাকতেঁতুল, লোয়া-রামগোপালপুর প্রভৃতি এলাকায় ঢুকে পড়ে। কখনও সেই পালে একটি-দু’টি হাতি থাকে, কখনও বা সেই সংখ্যা বেশিও হয়। কিন্তু কেন এভাবে হাতি গলসিতে প্রবেশ করে? জানা যাচ্ছে, দলমার থেকে হাতি বাঁকুড়া অতিক্রম করে এই জেলায় প্রবেশ করে গলসির কসবা, শিল্ল্যা ও গোহগ্রাম দিয়ে। এটি ‘এলিফ্যান্ট করিডর’।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে বিজেপির অবরোধে নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা
ওয়াচ টাওয়ারগুলি থেকে একদিকে যেমন হাতির গতিবিধি নজর রাখা হবে অন্যদিকে এলাকায় হাতি ঢোকার আগেই গ্রামবাসীকে সতর্ক করা হবে। তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবে।
মুখ্য বনাধিকারিক (ডিএফও, পূর্ব বর্ধমান) দেবাশিস শর্মা ওয়াচ টাওয়ার তৈরির কাজ চলছে বলে জানান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584