সৌমেন মিশ্র,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
উৎসাহী যুবকদের জন্যই, হাতিকে অন্যত্র সরিয়ে নিচে যেতে পেতে হচ্ছে বাধা।এর ফলে উত্তপ্ত হচ্ছে হাতি ঘটছে প্রানহানির মতো ঘটনা।কেউ বা হাতির সামনে এগিয়ে গিয়ে তুলছে সেলফি,কেউ বা আবার হাতিকে উত্ত্যক্ত করে পাচ্ছে মজা,এর ফলে অসাবধানতাবশত ঘটে চলেছে প্রাণহানির মতো ঘটনা।এই হাতিকে উত্ত্যক্ত করার চিত্র ধরা পড়ল ধামকুড়া বিটের পানশিউলি জঙ্গল এলাকায়,উল্লেখ্য প্রায় ছয় দিন ধরে দুটি দলছুট দাঁতাল ঘাঁটি গেড়েছে পানশিউলি জঙ্গল এলাকায়।আর এই দাঁতালগুলিকে দেখতেই প্রতিদিন প্রায় ৫০০-৬০০ অল্পবয়সি যুবকরা ভিড় জমাচ্ছে পানশিউলি জঙ্গল এলাকায়,দুপুর হলেই প্রথমে তারা জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে হাতির সঠিক স্থান চিহ্নিত করে, তারপর সেইখান থেকে হাতিকে উত্ত্যক্ত করে নিয়ে আসে বাইরে। আর তখন শয়ে শয়ে মানুষ জঙ্গলের মধ্যে ফাঁকা স্থানে হাতি দেখতে ভিড় জমায়।শুধু তাই নয় কেউ হাতির সামনে গিয়ে লাঠি নিয়ে খোঁচা মারা,মোবাইলের ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।আর হাতি ফোঁস করলেই হুড়োহুড়ি করে ছুটে পালায় এর ফলে পড়ে আহত হয় অনেকেই।আর এদিকে এলাকাবাসী বলছে সন্ধে হলেই দাঁতাল হাতির তাণ্ডব, বনদফতরের ভুমিকায় ক্ষোভ এলাকাবাসীর।এলাকাবাসী বলছে বন দফতর হাতি অন্যত্রে নিয়ে যেতে ব্যর্থ এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়।এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ চাষের জমি ও বাড়ি। জানা যায় গ্রামগুলি জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায় প্রতি বছর হাতি আসে এবং ক্ষতির সম্মুখীন হয় এলাকাবাসী।তাই হাতির তাণ্ডবে রাত পাহারা দেয় জঙ্গল লাগোয়া মানুষ।যদিও এবিষয়ে চন্দ্রকোনা বিটের রেঞ্জার মানস কান্তি ঘোষ বলেন,কিছু উৎসাহী যুবক হাতি গুলিকে উত্তপ্ত করছে এর ফলে হাতিকে অন্যত্রে নিয়ে যেতে ব্যাঘাত ঘটছে।
আরও পড়ুন:দলীয় শুভেচ্ছায় আচ্ছাদিত ইতিহাস
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584