শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতাঃ
পরিস্থিতি যাই থাক, বাস্তবে সাধারণ মানুষের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে আলুর দাম। অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই সবজিটি কে বাদ দিয়ে কোনও রান্নাই সম্ভব নয় বাঙালির। প্রাথমিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেও তার মধ্যে ১ টাকাও কমান নি ব্যবসায়ীরা। তাদের সাফ কথা, দাম এখন আর তাদের হাতে নেই।
তাই ঠিক কোন জায়গায় সমস্যা হচ্ছে, তা খুঁজে বার করতে এবার বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে বেড়ালেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা।বৃহস্পতিবার তারা প্রথমে ল্যান্ডসডাউন বাজারে, তারপর মানিকতলা বাজার, শিয়ালদহ কোলে মার্কেট, শ্যামবাজার মার্কেট, যদুবাবুর বাজার-সহ একাধিক জায়গায় বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ঘুরে বেড়ান।
আলুর দাম বাড়ার কারণ নিয়ে কথা বলেন ক্রেতা, বিক্রেতা উভয়ের সঙ্গেই। খুচরো বিক্রেতারা কত টাকা দরে কিনে আলু আবার বিক্রি করছেন, কত টাকা লাভ রাখছেন, সে বিষয়ে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এছাড়া ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন ইবি অফিসাররা। কতদিন ধরে কত টাকা দরে আলু কিনছেন, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ চার সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল আরবিআই
যদিও রাজ্যের দাবি, রাজ্যে পর্যাপ্ত আলু মজুত রয়েছে, হিমঘরে আলু ফেলে রেখে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে আলু ব্যবসায়ীদের দাবি, আলুর ফলন কম হয়েছে এবার গোটা রাজ্যেই। তাই হিমঘর থেকেই বেশি দামে বেরোচ্ছে আলু। মাঝে মধ্যবর্তী কিছু খুচরো বিক্রেতা অসাধু উপায়ে লাভ করতে আলুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই তাদের কিছু করার নেই।সুফল বাংলার স্টল থেকে সরকার নির্ধারিত দামে কেজি ২৫ টাকাতেই আলু বিক্রি চলছে। বাইরের বাজারেও যাতে ওই দামেই আলু বিক্রি হয়, তার জন্য সক্রিয় হল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584